ইসলামিক জিহাদের সকল নেতাকে হত্যার দাবি ইসরাইলের

45
ইসলামিক জিহাদ

গাজার সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদের সকল নেতাকে হত্যার দাবী করেছে “ইসরাইল”। মাত্র একদিনের অভিযানেই সংগঠনটির সকল সিনিয়র কর্মকর্তাকে হত্যা করতে সক্ষম হলে সেটি হবে ইসরাইলের জন্য বড় সফলতা।  ইসরাইলে শত শত রকেট নিক্ষেপ করা হলে গাজা থেকেও পাল্টা জবাব দেয়। শুক্রবার ‘অপারেশন ব্রেকিং ডন’ ঘোষণা করে ইসরাইল। ইসরাইলিদের সেনাবাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করা ইসলামিক জিহাদের সকল কর্মকর্তাই এখন নিহত। এরমধ্যে আছে এর প্রধান খালেদ মনসুরও। এ খবর দিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।

এদিকে ইসলামিক জিহাদের তরফ থেকেই মনসুরের নিহত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে। রোববার ভোরে তার অবস্থানকে টার্গেট করে এই হামলা চালানো হয়। এখন পর্যন্ত ইসরাইলের অভ্যন্তরে ৩৫০টি রকেট ছুঁড়েছে ইসলামিক জিহাদ। আইডিএফ জানিয়েছে, তারা গাজার মধ্যে বিভিন্ন টার্গেটে হামলা অব্যাহত রেখেছে।

এখন পর্যন্ত ২৪ ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এরমধ্যে কতজন ইসলামিক জিহাদের সদস্য তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আল-জাজিরা জানিয়েছে, হামলায় সশস্ত্র যোদ্ধারা নিহত হলেও বেসামরিকরাও হতাহত হচ্ছেন ব্যাপক হারে। এখন পর্যন্ত ৬ শিশু নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

অন্য খবর  গাজায় মানবিক বিপর্যয়, তবুও কাউকে গুনছে না ইসরায়েল

তবে ইসরাইলের দাবি, “ফিলিস্তিনিদের হতাহত হওয়ার প্রধান কারণ ব্যর্থ রকেট হামলা। ইসরাইলে ছোঁড়া প্রতি চারটি রকেটের একটিই গাজায় আছরে পড়ছে। আর এতেই বেসামরিক মানুষের হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। আইডিএফ মুখপাত্র বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কোচাব বলেন, ওই সময় ইসরাইল কোনো হামলা চালাচ্ছিল না”। ইসরাইলিদের প্রধানমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদের মুখপাত্রও এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসলামিক জিহাদ গাজায় শিশুদের হত্যা করছে। ইরানপন্থী সংগঠনগুলোর বেসামরিক নাগরিকদের ঢাল বানিয়ে যুদ্ধ করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ইসরাইল তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ অব্যাহত রাখবে কারণ তারা ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনি উভয়ের জন্যেই হুমকির।”

এই বিশেষ অপারেশনের দায়িত্ব দেয়া হয় মেজর জেনারেল ওদেদ বাসিউককে। তিনি নিশ্চিত করেন যে, খালেদ মনসুর নিহত হয়েছে। একইসঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী গাজায় সক্রিয় ইসলামিক জিহাদের সকল সিনিয়র কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। ইসরাইলের এই হামলা ও হত্যার নিন্দা জানিয়েছে গাজার আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। রোববার সকালে এক বিবৃতিতে তারা বলেন, “এই হামলা ফিলিস্তিনিদের জন্য যুদ্ধের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে।”

আপনার মতামত দিন