দোহার-নবাবগঞ্জ নিয়ে গঠিত ঢাকা-১ সংসদীয় আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি। এক সময়ের বিএনপির ঘা্টি বলে পরিচিত ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রথম জয়লাভ করে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। পরবর্তীতে ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে এই আসন থেকে জয়লাভ করেন জাতীয় পার্টির মনোনিত সালমা ইসলাম। কিন্তু তিনি জয়লাভ করলেও গড়ে তুলতে পারেন নি এই এলাকায় জাতীয় পার্টির ভিত্তি। উল্টো এইবারের দলীয় ভাবে হওয়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রকাশ পেয়েছে দোহার-নবাবগঞ্জে জাতীয় পার্টর হতশ্রী অবস্থা। দোহারে কোন র্প্রাথীই দিতে পারে নি জাতীয় পার্টি। অন্যদিকে নবাবগঞ্জের ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৫টি ইউনিয়নে প্রার্থী দিতে পেরেছে জাতীয় পার্টি। এর ফলে জনমানুষের সাথে দলটির জন বিচ্ছিন্নতা আবার প্রকাশ পেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে।
১ম দফায় দোহারের ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকলেও কোন খোজ পাওয়া যায় নি কোন জাতীয় পার্টির প্রার্থীর। উল্টো জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার ভয়ে অনেকেই জাতীয় পার্টির কেন্দ্র থেকে চাপ থাকলেও নির্বাচনে অংশ নেন নি। দোহারের মতো অতোটা করুন না হলেও নবাবগঞ্জেও করুন অবস্থা জাকীয় পার্টির। নবাবগঞ্জের ১৪টি ইউনিয়নের মাঝে মাত্র ৫টি ইউনিয়নে প্রার্থী দিতে পেরেছে জাতীয় পার্টি। বাকি ৯টি ইউনিয়নে নেই জাতীয় পার্টির কোন প্রার্থী। সালমা ইসলাম এমপির নিজের এলাকায় জাতীয় পার্টির এ্মন করুন অবস্থা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক অবস্থার করুন চিত্রই তুলে ধরেছে এই উপজেলায়।
নবাবগঞ্জে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়েছেন কৈলাইল ইউনিয়নে আয়নুল চৌধুরী, নয়নশ্রী ইউনিয়নে রিপন মোল্লা, বক্সনগর ইউনিয়নে মোরাদ মিয়া, গালিমপুরে শিল্পী ইসলাম, চুড়াইন ইউনিয়নে আসমা আক্তার রুমি।
এই দুরবস্থা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আশ্চার্যের কিছু না। উল্টো তারা মন্তব্য করেছেন ভিত্তিহীন কিছু রাজনৈতিক ও সুবিধা বঞ্চিত নেতাদের দ্বারা চালিত হচ্ছে এই দুই উপজেলার জাতীয় পার্টি। রাজনৈতিক আদর্শবাদী কেউ জাতীয় পার্টির রাজনীতি করে না। বরং যারা সুবিধাভোগী তারাই নিয়ন্ত্রন করছে এই দুই উপজেলার জাতীয় পার্টি। তারা জন সাধারনের সাথে সম্পর্ক রাখার চেয়ে জাতীয় পার্টির স্থানীয় এমপি সালমা ইসলামের তোষামোদ করতেই বেশি পছন্দ করে। ফলে সাধারন মানুষের কাছে তাদের কোন ভিত্তি তৈরি হয়নি। তাই আজ তাদের এই অবস্থা।
তাছাড়া নবাবগঞ্জের স্থানীয় মানুষেরা মনে করেন, জাতীয় পার্টি থেকে যারা প্রাথী হয়েছেন তারা বেশিরভাগই নিজেদের জামানত হারাবেন।
জাতীয় পার্টির ইউপি নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর চোকদার ও সাধারন সম্পাদক জুয়েল আহমেদ এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায় নি।