আরবের সংস্কৃতি’ কে ভালোবেসে হাকিমি বদলালেন ইতিহাস

31

ম্যাচ জিতে মায়ের কাছে ছুটে যান হাকিমি । ওই মুহূর্তে কী ভাবছিলেন আশরাফ হাকিমি? নতুন ইতিহাস লেখার চাপ তিনি কী একটুও অনুভব করেননি? বোধ হয় না। অনুভব করলে কী আর ওই সময় ‘পানেনকা’ শটে বল জালে জড়াতে পারতেন! চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রেখে পারফর্ম করার শিক্ষাটা হাকিমি সম্ভবত নিজের জীবন থেকেই পেয়েছেন।

হাকিমিকে ফুটবলার বানাতে একটা সময় মাদ্রিদের রাস্তায় ফেরি করে মালামাল বিক্রি করতেন তাঁর বাবা, বাসাবাড়ি পরিষ্কারের কাজ করতেন তাঁর মা। এই গল্পটা তো অনেকেরই জানা।

হাকিমির ওই শটে কী ইতিহাস লেখা হলো, সেটা জানিয়ে রাখা ভালো। মরক্কো তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়েছে। এর আগে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছিল আটলাসের সিংহরা। হাকিমির জন্ম আরও ১২ বছর পর। মরক্কো চতুর্থ আফ্রিকান দেশ ও প্রথম আরব দেশ হিসেবে শেষ আটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

ইতিহাস কিন্তু ভিন্নভাবেই লেখা হতে পারত। তাঁর শটে যে দেশটা বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে, হতেই পারত কাতার বিশ্বকাপে সেই স্পেনের প্রতিনিধিত্ব করছেন এই হাকিমি। ফ্রান্সের হয়ে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পে একটা ভালো উদাহরণ হতে পারেন এখানে। এই ফুটবলার ফ্রান্সের হয়ে খেললেও, তাঁর নাড়িপোঁতা কিন্তু আফ্রিকাতেই। আর এক দেশে জন্ম, তবে খেলেন অন্য দেশের হয়ে—ফুটবলে তো এমনটা হরহামেশাই হয়।

আপনার মতামত দিন