ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যার নামের সাথেই জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ নামক এক দেশের অভ্যুদ্বয়। বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির প্রাণকেন্দ্র এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই অবদান রাখেনি। রেখেছে রাজনীতিতেও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন দেশের প্রতিথযশা রাজনৈতিক কর্মীরা। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতেই দেখা দিয়েছে দোহারের নতুন মুখ। মোঃআরজ আলী। নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক।
১৯৯৪ সালে নয়াবাড়ি ইউনিয়নের পদ্মা তীরবর্তী পানকুন্ডু গ্রামের শেখ রজ্জব আলী ও হোসনেয়ারা বেগমের কোল আলো করে জন্মগ্রহন করা এই উদায়মান ছাত্রনেতা। আরজ আলী তার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন পানকুন্ডু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যা আজ পদ্মার কড়াল গ্রাসে হারিয়েগেছে পদ্মায়। ছোট বেলা থেকে মেধাবী আরজ আলী পঞ্চম শ্রেণীতে টেলেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন। তার ধারাবাহিকতায় অষ্টম শ্রেণীতে সাধারন গ্রেডে বৃত্তি লাভ করেন। ১ম শ্রেণী থেকে রোল নাম্বার ১ ধরে রাখা এই মেধাবী ছাত্র ২০১০ সালে বাহ্রা হাবিলউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালে ক্যামব্রিয়ান কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পরীসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন। এবং ফজলুল হক হলে সিট পান। মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দেন এই মেধাবী ছাত্রনেতা। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ফজলুল হক মুসলিম হলে নব নির্বাচিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন এই মেধাবী ছাত্রনেতা।
তবে শুধু ঢাকা কেন্দ্রীক রাজনীতি নয়, রাজনীতির সুস্থ ব্যবহার তিনি ছড়িয়ে দিতে চান দোহারেও। নিউজ৩৯ এর কাছে তিনি বলেন, দোহার নবাবগঞ্জ এর সাধারণ ,গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই ,মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার ইচ্ছা আমার বহুদিনের। সেই সুযোগ আসবে কিনা আল্লাহই ভাল জানে। গরীব ছাত্রদের জন্য ফান্ড গঠন করার জন্য কাজ করে যাব । আমাকে এত ভাল জায়গায় রাখার জন্য আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয় সংগ্রামী সভাপতি আবিদ আল হাসান এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্স ভাইকে এবং হলের সংগ্রামী সভাপতি শাহরিয়ার সিদ্দিক শিশিম ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রাহমান ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি নিয়ে নয়, আমি দোহার-নবাবগঞ্জ নিয়েও ভাবতে চাই। দোহার-নবাবগঞ্জের মানুষের সাথে এবং পাশে থাকতে চাই বাংরাদেশ আওয়ামী লীগ ও জাতির পিতা শেখ মুজিবের আর্দশ নিয়ে।