‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পে কেরানীগঞ্জে শতাধিক পরিবার স্বাবলম্বী

197
 ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পে কেরানীগঞ্জে শতাধিক পরিবার স্বাবলম্বী

 ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের ক্ষুদ্র ঋণ ঢাকার কেরানীগঞ্জে দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। কেরানীগঞ্জের বেকার যুবক-যুবতী, গৃহিণী ও দরিদ্র চাষিরা এ প্রকল্প থেকে ঋণ নিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন করেছেন।

এ প্রকল্পের আওতায় হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, মৎস্য চাষসহ বিভিন্ন প্রকল্পে সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে অনেক অসহায় নারী-পুরুষ সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। পাশাপাশি পরিবারের দরিদ্রতা দূর করে নিজেদের করেছেন স্বাবলম্বী। এতে কেরানীগঞ্জে দরিদ্রের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে বেকারত্বের সংখ্যাও অনেকাংশে কমেছে।

করোনাকালীন সময়ে এ প্রকল্পের যেসব সদস্য আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের জন্য সরকার কর্মসৃজন ঋণ নামে একটি বিশেষ ঋণ কার্যক্রমের আওতায় কেরানীগঞ্জে ১০০ জনকে ৫০ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে। আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের ঋণ নিয়ে গবাদি পশু পালন করে পরিবারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের সাইফুল মিয়া।

তিনি বলেন, আমি শুধু কৃষিকাজ করে পরিবারের দারিদ্র্য দূর করতে পারছিলাম না। আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে খামার পদ্ধতিতে গবাদিপশু পালন করায় বর্তমানে আমার খামারে ১২টি গরু রয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ কেজি দুধ পাওয়া যায়। এ দুধ বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হয়।

অন্য খবর  সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এসিল্যান্ডের নিউজ৩৯ সম্পাদকের সৌজন্য সাক্ষাৎকার

 বাস্তা ইউনিয়নের রাজাবাড়ী এলাকার সফল উদ্যোক্তা সোনিয়া বেগম জানান, তিনি ১০টি মুরগি ও ১০টি হাঁস নিয়ে খামার শুরু করেন। পরে এ প্রকল্প থেকে ঋণ নিয়ে তিনি পরিবারে সচ্ছলতা এনেছেন। এখন তার খামারে ১৫০টি মুরগি ও ২০০টি হাঁস রয়েছে।

এছাড়া তারানগর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের রুবেল ঋণ নিয়ে মুদি দোকান করে সফল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হয়েছেন, একই গ্রামের জামাল ও আমিনুল ইসলাম ঋণ নিয়ে গবাদি পশু পালন করে সফল খামারির পরিচিতি পেয়েছেন।

তারানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক বলেন, আমার এলাকার কয়েকশ’ লোক সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষ, কৃষিকাজ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা করে সফল হয়েছেন।

আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পর উপজেলা সমন্বয়কারী ফয়সাল আহমেদ বলেন, কেরানীগঞ্জের ৯ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে আমরা ৬০ জন নারী-পুরুষের সমন্বয়ে সমিতি গঠন করে তাদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করি। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক সদস্যকে সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমরা ১০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দিই। কেরানীগঞ্জ উপজেলায় গত ১ বছরে ৩ হাজার উদ্যোক্তাকে ঋণ দিয়েছি। এর মধ্যে আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের মাধ্যমে ১ হাজার জনকে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এছাড়া পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাধ্যমে ২ হাজার জনকে ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছি।

আপনার মতামত দিন