উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় বিদ্রোহী ১২৬ উপজেলা চেয়ারম্যানকে আগামী সেপ্টেম্বরে সাংগঠনিকভাবে বহিস্কার করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একারণে দলীয় পদ-পদবিসহ ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে আসার সুযোগ হারাবেন। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এরইমধ্যে বিদ্রোহী উপজেলা চেয়ারম্যানদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষ্ফ্ক্রিয় করা হয়েছে। এতে নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ ঝিলু।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে বিদ্রোহী উপজেলা চেয়ারম্যানদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় কয়েকজন নেতা।
তারা জানান, শোকের মাস আগস্টের পর সেপ্টেম্বরে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের শোকজ করা হবে। সেইসঙ্গে তাদের দলীয় পদ-পদবিও কেড়ে নেওয়া হবে। বহিষ্কৃতদের কয়েক ধাপে চিঠি দেওয়া হবে।
বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের তালিকা তৈরির কাজ চূড়ান্ত করতে দলের চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আট সাংগঠনিক সম্পাদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা তালিকা তৈরির কাজ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছেন। সেই তালিকায় দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বের নাম উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত ৪৭৩টি উপজেলার নির্বাচনে ১৪৯টিতে চেয়ারম্যান পদে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১৪০ জনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাকে দলের বিদ্রোহী হিসেবে ধরে নেয় আওয়ামী লীগ।
বহিস্কার হতে যাওয়া ২০০ নেতার মধ্যে খুলনায় ৪১ জন, রাজশাহীতে ২০ জন, সিলেটে ৩২ জন, রংপুরে ২৬ জন, বরিশালে ১৭ জন, ময়মনসিংহে ২০ জন, ঢাকায় ৪৫ জন এবং চট্টগ্রামে ১৭ জন রয়েছেন।