অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি চিকিৎসা খাতে উন্নয়নের বিকল্প নেই – আসাদুজ্জামান খান কামাল

293

ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে সব বয়সী মানুষ উপকার পাচ্ছেন। এ পেশার মানোন্নয়নে সরকার সম্ভাব্য সবকিছু করবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি চিকিৎসা খাতে উন্নয়নের বিকল্প নেই। বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপি পেশার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) শনিবার রাজধানীর এলজিইডি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. দলিলুর রহমান।

এদিকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেছেন, এ দেশে ফিজিওথেরাপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়া একান্ত জরুরি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি চিকিৎসা খাতে উন্নয়নের বিকল্প নেই। এ সময় ফিজিক্যাল কলেজ স্থাপনের জন্য বরাদ্দ দেয়া জমি দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে বিপিএর পক্ষ থেকে দাবি জানানো হলে তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবহিত করার পরামর্শ দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এ দেশে ষাটের দশকে শুরু হয় ফিজিওথেরাপি পদ্ধতি। স্বাধীনতা উত্তরকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় যুদ্ধাহত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন এবং জনসাধারণের বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও পঙ্গু রোগীদের জন্য ফিজিওথেরাপি সেবা ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিপিএ ফিজিওথেরাপি পেশা ও পেশাজীবীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তখন থেকেই এ পেশায় ডিগ্রিধারী পেশাজীবীরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই জনসাধারণকে চিকিৎসা সেবা প্রদানে নিরলস কাজ করছেন।

অন্য খবর  দোহারে ভাড়াটিয়াকে নামিয়ে দেয়ায় দোকান মালিককে হুমকি

বিশেষ অতিথি সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেন, এ দেশে ফিজিওথেরাপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। ফিজিক্যাল থেরাপি কলেজের জন্য বরাদ্দ জমিটি বেদখলে রয়েছে। সেখানে গড়ে উঠেছে ভাসমান বস্তি। এদের অন্যত্র সরিয়ে ফিজিওথেরাপি সংগঠনকে জমিটি বুঝিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি। সালমা ইসলাম এমপি আরও বলেন, সুস্বাস্থ্য ও কর্মক্ষম জীবন নিশ্চিত করতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার গুরুত্ব ব্যাপক। এ বিষয়ে গবেষক, পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ এবং রোগীরা এক স্থানে একত্রিত হয়ে বাস্তব জীবনের গবেষণার ফলাফল, কৌশলগত পরিকল্পনার মাধ্যমে এ দেশের লাখ লাখ ভুক্তভোগীকে সংকট থেকে বাঁচাতে পারেন। অপারেশন পরবর্তী সমস্যাসহ নানা জটিলতার শিকার অনেকেই ওষুধে আরোগ্য হন না, সেসব রোগীর জন্য ফিজিওথেরাপি অত্যাবশ্যক। এ কারণেই ফিজিওথেরাপিস্টদের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। ফিজিওথেরাপির বিকল্প নেই। এরকম একটি জাতীয় ইস্যুকে অবজ্ঞা না করে এ বিষয়ে সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। বর্তমানে লাখ লাখ রোগী নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ফিজিওথেরাপি সেবা নিচ্ছেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ফিজিওথেরাপিস্ট থাকলেও সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে নেই। এতে রোগীরা বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হলেও কিছু করার থাকে না। এছাড়াও বক্তব্য দেন- প্রফেসর ডা. গোলাম কিবরিয়া, সাবেক সচিব প্রফেসর ডা. হাজেরা নজরুল, দিদারুল ইসলাম দিদার, এবিএমএ অধ্যাপক ডা. শহীদুল ইসলাম, মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ডা. সফিউল্লাহ প্রধান। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ডা. ইয়াসমিন আরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে মূল বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ডা. ফরিদ উদ্দিন।

আপনার মতামত দিন