অবৈধ মজুতদারির সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে পাশ হয়েছে নতুন আইন। বুধবার (৫ জুন) খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) বিল ২০২৩ এর অনুমোদন দেয় জাতীয় সংসদ। ‘কাল্পনিক নামে’ খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করলে দুই বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন এই আইন প্রণয়নের মধ্য দিয়ে কমবে জনদুর্ভোগ।
খাদ্য নিয়ে কারসাজি, মজুতসহ নানা অপরাধ দমনে বুধবারের সংসদ অধিবেশনে নতুন আইন অনুমোদনের প্রস্তাব দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদার।
১৯৫৬ সালের ফুড অ্যাক্ট এবং ১৯৭৯ সালের ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই অর্ডিন্যান্সকে প্রতিস্থাপন করবে নতুন এই আইন। আইনে আছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া খাদ্য মজুদ করেছিলেন, তাহলেও তিনি অনূর্ধ্ব তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ বিষয়ে বিষদ আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা।
সংশোধনী নিয়ে সংসদ সদস্যদের মতামত জানতে চান জাতীয় সংসদের স্পিকার। আইনটির পক্ষে ভোট দেন অধিকাংশ সংসদ সদস্য।
বুধবারের সংসদ অধিবেশনে এর আগে সরকারি বেসরকারি অংশিদারিত্ব সংশোধন বিল ২০২৩ ও এজেন্সি টু ইনোভেট (এ টু আই) বিল ২০২৩ এর অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব পঠিত বলে গণ্য হয়।