অপ্রাপ্ত বয়স্ক কারো কাছে মোটর সাইকেল তুলে দিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন। দোহারের সাপ্তাহিক পত্রিকায় তিনি এই বক্তব্য দেন। এই সময় তিনি বলেন, ১৮ বছরের নিচে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বেরুলেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুধু তাই নয় ওই চালকের অভিভাবকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত এক দশকে প্রবাসী অধ্যুষিত এই দোহার-নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল আরোহীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৭০ গুণ। গোটা দোহারে কয়েক হাজার মোটরসাইকেলবেপরোয়াভাবে চলছে। এগুলোর অধিকাংশেরই লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স নেই চালকেরও। অধিকাংশ সন্তানের বাবা প্রবাসে, মা বাড়িতে থেকে ছেলের আবদার মেটাতে মোটরসাইকেল কিনে দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।
দোহার থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, দোহারে এসে দেখলাম অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাইকারের সংখ্যাই বেশি। তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আর বেশিরভাগ বাইকের রেজিস্ট্রেশন নেই। ট্রাফিক আইনে আটক করলেও অভিভাবকদের তদবির আসে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। তবে এখনকার অধিকাংশ বেপরোয়া ছেলে কথা শোনে না। এ ধরনের বাইকারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ছোট যান। কিন্তু ঝুঁকি অনেক। টিনএজারদের কাছে জনপ্রিয় ও শখের বাহন। এ বাহন এখন বড় ধরনের ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দোহার-নবাবগঞ্জের রাস্তাঘাটে। অপ্রাপ্ত বয়সে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের চালক যেমন নিজের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছেন, তেমনি বিপন্ন করে তুলছেন অন্যের জীবনকে। ঘটছে একের পর এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। আর ঝরছে তাজা প্রাণ। ছোট্ট গতির এ বাহনটি অপরাধীদের বাহন হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সী কেউ মোটরসাইকেল চালানোর অধিকারী না হলেও দোহার-নবাবগঞ্জের রাস্তায় হরহামেশাই অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক দেখা যায়। এতে সস্তা মূল্যের বাহনটি এখন ‘পথের আতঙ্ক’ হয়ে উঠেছে।
টিনএজারদের দূরন্ত গতির এসব বাইক ভয়ংকর হয়ে দেখা দিয়েছে জনমনে। একটি-দুটি নয়, একসঙ্গে একাধিক। চোখের সামনে দিয়ে তীব্র গতিতে ছুটে চলে। হর্নের শব্দে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই মোটরসাইকেলচালকদের।