সৌদি আরবের জেদ্দায় সানাইয়া শহরের একটি মসজিদে এসি বিস্ফোরণে ফেরদৌস খন্দকার (৪৫) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছ। তাঁর বাড়ি ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার দোহার গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত আনু খন্দকারের ছেলে।
নিহতের চাচা নিপু খন্দকার জানান, আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টার দিকে জেদ্দার সানাইয়া শহরের একটি মসজিদে নামাজ আদায় শেষে বেরুতে থাকেন ফেরদৌস। এমন সময় ওই মসজিদের ইমামের আবাসিক কক্ষে বিকট শব্দে এসির বিস্ফোরণ হয়। তখন ওই কক্ষে থাকা ইমামের ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে যান ফেরদৌসসহ কয়েকজন মুসল্লি। এ সময় গুরুতরভাবে আহত হয় সে। ঘটনাস্থলেই ফেরদৌসের মৃত্যু হয় তবে ওই কক্ষে থাকা ঈমামের ছেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, ফেরদৌসের মৃত্যুর সংবাদ মুঠোফোনে তাঁর পরিবারের সদস্যরা আজ দুপুরে জানতে পেরে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বামীর মৃত্যু সংবাদ কিছুতেই মানতে পারছেন না স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার আর বাবার কথা মনে করে শুধুই কাঁদছেন দুই ছেলে মো. ইমু খন্দকার (২০) ও ইশতি খন্দকার (৭)। অন্যদিকে, ছেলের মৃত্যুর কথা শুনে পাগলপ্রায় মা ঝর্ণা খন্দকার।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফেরদৌস খন্দকার ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবে প্রবাস যাপন করছেন। সবশেষ দুই বছর আগে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। সে সানাইয়া শহরের একটি থাই-এলমুনিয়াম তৈরির কোম্পানিতে চাকরি করতেন।