একুশে বইমেলায় দোহারের ডা জেসমিন আক্তার সুমা খানের প্রথম উপন্যাস “মঙ্গা”

113
একুশে বইমেলায় দোহারের ডা জেসমিন আক্তার সুমা খানের প্রথম উপন্যাস

ডা.জেসমিন আক্তার সুমা খান। যিনি একাধারে একজন সরকারি চিকিৎসক এবং একজন সাহিত্য চিন্তক। তিনি তার সরকারি চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন উপজেলার সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

ডা.জেসমিন আক্তার সুমা খানের নিজ বাড়ি দোহার উপজেলার পৌরসভার খারাকান্দা এলাকায়। তার পিতার নাম আবু বক্কর সিদ্দিক। যিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দোহার পৌরসভার কাজীবাড়ি নামে সকলে তাদের চিনে জানে।

এবারের অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ সালে ডা.জেসমিন আক্তার সুমা খানের প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটির নাম” মঙ্গা”। গত ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ শুক্রবার বিকেল ৫ টায় বাংলা একাডেমি চত্বরে বইটির মোড়ক উন্মোচিত হয়। আজ নিউজ ৩৯ এর সাথে ডা জেসমিন আক্তার সুমা খানের কথা হয় তিনি নিউজ ৩৯ কে জানায় –

” বই পড়া ও লেখালেখির অভ্যাস আমার ছোট বেলা থেকেই। আমি বিভিন্ন পত্রিকায় আমার ছোটো বড় কবিতা, গল্প লেখা গুলো পাঠাতাম। নয়াদিগন্তের ডাংগুলি সাপ্তাহিক, মাসিক সংখ্যায় আমার এবং আমার ছোট বোনের লেখাগুলি ছাপাতো। সেই থেকেই শুরু লেখালেখির । দুই বোন পাল্লা দিয়ে লেখা পাঠাতাম।

বরিশাল মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় অনেক গল্প উপন্যাসের বই আমি পড়েছি। ডাক্তারি পড়ার পাশাপাশি তখনও সাহিত্য চর্চা করতাম।

অন্য খবর  এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের ফল ২৮ আগস্ট

পেশাগত জীবনে আমার পোস্টিং যখন ঠাকুরগাঁও তখন থেকে আমি এই উপন্যাস লেখা শুরু করি। তখন পেশাগত দায়িত্ব পালন করায় উপন্যাসটি সম্পূর্ণ শেষ করতে পারিনি। পরবর্তীতে অল্প অল্প করে দীর্ঘ ১০-১২ বছর পর ২০২৪ সালে উপন্যাস আকারে প্রকাশিত করতে পেরেছি। উপন্যাসের নাম দিয়েছি মঙ্গা।

আমরা মঙ্গা শব্দের সাথে পরিচিত। বাংলাদেশের উওর বঙ্গের খরা প্রবণ অঞ্চলের দুর্ভিক্ষের কারনে এই অঞ্চলকে মঙ্গা নামে ডাকা হয়। আমি ঠাকুরগাঁও থাকাকালীন সময়ে দেখেছি প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের দুর্দশা। তারা কিভাবে বছরের ৩-৪ মাস দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করে। আর সামান্য অসুস্থতার জন্য অবহেলায় মারা যায়।

একজন ডাক্তার হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা এবং একটি পরিবারের মঙ্গা থেকে উঠে আসার কথা উপন্যাস আকারে এসেছে। যেখানে সামান্য রোগে অবহেলায় মারা যায়, সেখানে স্বাস্থ্যসেবা কিভাবে সহজে দেওয়া যায় এবং রোগ সম্পর্কে সচেতন করে তোলা যায় তা দেখানো হয়েছে।অন্যদিকে একটি পরিবার কিভাবে তার দারিদ্রকে জয় করে মঙ্গার তকমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে সে উপায় দেখানো হয়েছে । আর সেখানে সরকার এবং অন্যান্যদের করনীয় কি? তা তুলে ধরা হয়েছে।

অন্য খবর  এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে এখনো আমরা কিছু বলতে পারছি নাঃ ডা. দিপু মনি

আমি আশাবাদী বইটি মানুষ পড়বে। বইটি বাস্তবতার সাথে মিল রেখে লেখা। এই বইটি একুশে বই মেলার ৩৮১ স্টলে চয়ন প্রকাশনীতে পাওয়া যাবে।

আপনার মতামত দিন