দোহার থানার সুন্দরীপাড়া গ্রামে গৃহবধুকে হথ্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে। সুন্দরীপাড়া গ্রামের পান্জুর সাথে তার স্ত্রী মিনুর বেশ কয়েক বছর ধরেই সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না। এর মাঝে পাঞ্জু স্ত্রীকে পাগল সাবস্ত্য করার জন্য জোর করে মানসিক চিকিৎসার নামে পাবনা মানসিক হাসপাতালেও ভর্তি করে।
সুন্দরীপাড়া গ্রামের পাঞ্জুর সাথে মিনুর বিয়ে হয় চার-পাঁচ বছর আগে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মাঝে নানা রকম সমস্যা লেগেই থাকতো। ফলে সারা বছর তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। এর মাঝে তাদের সংসারে শান্তি আনার জন্য বেশ কয়েকবার সালিশও হয়েছে। কিন্তু কোন কাজেই কোন ফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেটা পৌছাল হত্যাকান্ডে।
এলাকা বাসীর কাছ থেকে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একেবারে তিক্ত হয়ে উঠেছিল। এর বিরোধের জের ধরে মিনুকে পাগল সাজিয়ে পাবনা মানসিক হাসপাতালেও পাঠানো হয়। তারপরও মিটেনি তাদের মাধ্যকার সমস্যা। হাসপাতাল থেকে সুস্থ বলে মিনুকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলে শুরু হয় মিনুকে হত্যার ষড়যন্ত্র। মিনুকে হত্যার কয়েকমাস আগে মিনুর কাছে থাকা তার বাবার বাড়ি থেকে দেয়া ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে নেয় পাঞ্জুর মা।
তারপর গত বুধবার মিনুকে বেধরক মারপিট করে তার স্বামী পাঞ্জু। এসময় মারপিটের জন্য মারা যায় মিনু। মারপিটের ফলে তার হাত-পাঁ ভেঙ্গে যায়। সারা শরীরে মারের দাগ পড়ে যায়। এসময় পাঞ্জু মিনুকে ফাঁসে ঝুলিয়ে দেয়। এবং সবাইকে বলে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ মিনুর লাশ সংগ্রহ করে ময়না তদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
সুন্দরীপাড়ায় গৃহবধু হত্যার অভিযোগ
আপনার মতামত দিন