রাশিম মোল্লাঃ আমেরিকার জিডিপির হার বাংলাদেশের থেকে পঁচাত্তর গুন বেশি। ছোট্ট এই দেশটি এগিয়ে এলো বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিকে সচল করতে, শ্বাস ফেলতে। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতে প্রকাশিত আমেরিকা এবং বাংলাদেশের এই কাহিনী চোখকে বিস্ময়ে বিমূড় করেছে। আর এই অসাধ্য সাধন করেছেন ঢাকা-১ সাংসদ সালমান এফ রহমান এমপি।সালমান এফ রহমানের উদ্যোগে তার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান – বেক্সিমকো এই অসাধ্য সাধন করেছে। কুড়ি মিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা আমেরিকার ডেট্রয়েট শহরে এন-৯৫ মাস্কের একটি প্লান্ট বসাচ্ছে। এই বিনিয়োগ দু’হাজার আঠারো সালে বাংলাদেশের মোট বিদেশি বিনিয়োগের তিন মিলিয়ন ডলারের থেকেও প্রায় সাত গুন বেশি।প্রথমে তারা ডেট্রয়েট শহরে পরে আমেরিকার সব শহরেই মাস্ক সরবরাহ করবে। বাংলাদেশেও বেক্সিমকো ত্রিশ মিলিয়ন ডলার ব্যায় করে একটি মাস্ক উৎপাদন করার কারখানা গড়ছে। আমেরিকার জি ডি পি সাড়ে কুড়ি ট্রিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশের জিডিপি দুইশো চুয়াত্তর বিলিয়ন ডলারের। বিস্তর এই বৈষম্য সত্ত্বেও বাংলাদেশের একটি কোম্পানি এগিয়ে এলো আমেরিকার পাশে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চীনের পর দ্বিতীয় বস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশের জিডিপির পরিমান ৮ দশমিক ১ শতাংশ। সব মিলিয়ে বেক্সিমকোর এই উদ্যোগ সাধুবাদ কুড়িয়ে নিচ্ছে বিশ্বের বাণিজ্য মহলের। মাস্ক তৈরির এই কারখানা নয় মাসে সম্পূর্ণ হবে। করোনা কবলিত হওয়ার পর আমেরিকা নিদারুন মাস্ক সমস্যার মুখোমুখি হয়।
চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় আমেরিকা মাস্ক আমদানি করতে বাধ্য হয় ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, জাপান, মেক্সিকো, কোরিয়া থেকে। মার্কিন হাসপাতালগুলোতে মাস্কের এত অভাব হয় যে তারা পাবলিক ডোনেশন প্রার্থনা করে। বেক্সিমকো কার্যত আমেরিকাকে নিশ্চিন্তে শ্বাস ফেলতে সাহায্য করবে।