সালমান এফ রহমান

কোন ধরনের বড় কোন পরিবর্তন না আসলে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকোর ভাইস প্রেসিডেন্ট সালমান এফ রহমান। আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রের বরাত দিয়ে কালের কন্ঠ এই সংবাদ প্রকাশ করেছে। সালমান এফ রহমান সহ ১০০ প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  জোটগত ভাবে নির্বাচন করলে ঢাকা-১৭ থেকে প্রার্থী হতে পারেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।

তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় দলীয় আনুষ্ঠানিকতার পর। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে চূড়ান্ত করে চিঠি দেওয়া হবে প্রার্থীদের।

দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নিশ্চয়ই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন এঁদের দিয়ে ভালো ফল পাবেন তাই তাঁদের ইঙ্গিত বা গ্রিন সিগন্যাল দিচ্ছেন। যাঁর সম্ভাবনা বেশি আছে, অনেক ক্ষেত্রে তাঁকে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

অন্য খবর  কুসুমহাটিতে প্রবাসীদের নিয়ে কর্মশালা

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, ‘এটি আন-অফিশিয়ালি করা হচ্ছে। যাঁদের আসনে ভালো ফল ছিল, যাঁদের আসন নিয়ে আমরা আশাবাদী, তাঁদের একটা সিগন্যাল দেওয়া হয়েছে। এই সিগন্যাল নেত্রী দিচ্ছেন। বেশ কিছু আসনে নেতাদের নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’ সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে এমন আসনের সংখ্যা কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, আনুমানিক ১০০ হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সর্বশেষ অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের লক্ষ্যে জরিপ কার্যক্রম অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগেও এ ধরনের জরিপ করা হয়েছিল। সরকারি সংস্থার বাইরে বেসরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠান এ ধরনের জরিপকাজে অংশ নেয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অনেক আগে থেকেই জরিপ চালানো হচ্ছে। এটি নির্বাচনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করে থাকে দলের মনোনয়ন বোর্ড। পদাধিকার বলে ওই বোর্ডের প্রধান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তৃণমূল আওয়ামী লীগের সুপারিশের বিষয়টিও আমলে নেয় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার আগে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দলীয় ফরম কিনে মনোনয়ন বোর্ডের মুখোমুখি হতে হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বোর্ডের সদস্যরা তাঁদের সাক্ষাৎকার নেন। এরপর মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থী চূড়ান্ত করলে শেখ হাসিনার সই করা চিঠি চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীদের হাতে দেওয়া হয়।

অন্য খবর  দোহারের ধাপারিয়া খাল খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছিলেন দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সেখানে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল শেখ হাসিনার সই করা আওয়ামী লীগের মনোনয়নের চিঠি।

আপনার মতামত দিন