সরকার পরিবর্তনের পরও থামেনি বাদলের তান্ডব

1279

স্টাফ রিপোর্টারঃ ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শিকারীপাড়া ইউনিয়নের এক আতঙ্কের নাম বাদল কোম্পানি। সে নবাবগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক প্রচার ও ঢাকা জেলা কৃষকলীগের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক। বিগত আওয়ামী সরকারের ছত্রছায়ায় এতদিন বহু অত্যাচার ও নিপিড়ন করে ত্রাসের রাজ্য কায়েম করেছিল বাদল। এমন কি গত স্থানীয় নির্বাচনের আগে শিকারীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলিমোর রহমার খান পিয়ারাকে বেধড়ক মারধর করে। টাকা দিয়ে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ফসলি জমির মাটি উত্তোলন করে কোটি টাকার মালিক হয়ে যায় সে। বাড়িতে বহুতল দালান আর গাড়ি করে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই। গত স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে চেয়ারম্যান পদে লড়াই করে বর্তমান চেয়ারম্যানের বিপক্ষে। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সে প্রতিশোধ নিতে বর্তমান সময়কে বেছে নিয়েছে। সংখ্যালঘু বাড়িতে আক্রমন করে বাড়ি ভাঙচুর করেছে। বাবু দিলীপ কুমার ঘোষের বাড়িতে আক্রমন করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। বর্তমান চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় ও চেয়ারম্যানকে মারার হুমকি দিয়ে আসে। চেয়ারম্যান বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। হাগ্রাদী বাজারে গিয়ে ফার্মেসীতে আক্রমন করে ডাঃ বোরহান উদ্দিনকে ব্যাপক মারধর করে আহত করে। সে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি জড়িত না থাকার পরও তার প্রতি আক্রমন করে। বাদলের নেতৃত্বে হাগ্রাদী গ্রামের দানেশ মিয়ার ছেলে আব্দুল আওয়াল, বাবুলের ছেলে মোঃ বাঁধন, সুরুজ মিয়ার ছেলে রবিউল সরাসরি মারামারিতে অংশ নেয় ও ভাংচুর করে। গতকাল সরকারের পতন হওয়ার পরপরই সে এই আক্রমন করে। এলাকার গন্যমান্য মুরব্বিরা জানান, আমাদের এলাকা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মুক্ত ছিল এবং সংখ্যালঘুরা সব সময় নিরাপদে ছিল। সাম্প্রতিক সম্প্রীতি বজায় ছিল যা বাদল পরিকল্পিতভাবে নষ্ট করেছে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে নৈরাজ্যমূলক পরিবেশ ও ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। আমরা এর বিচার চাই।

আপনার মতামত দিন