সপ্তাহ জুড়ে বন্যা থাকবে চট্টগ্রাম ও তিন পার্বত্য জেলায়

15
সপ্তাহ জুড়ে বন্যা থাকবে চট্টগ্রাম ও তিন পার্বত্য জেলায়

টানা ভারি বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বের পার্বত্য অববাহিকার কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিস্থিতির ক্রম অবনতি ঘটছে। শহরের পথঘাট-সড়ক পানিতে ঢেউ খেলছে।

আবহাওয়া অধিদফতর পূর্বাভাস বলছে, চট্টগ্রাম বিভাগে আরও দু’দিন অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এ অঞ্চলের প্রধান নদী মুহুরী, ফেনী, হালদা, কর্ণফুলী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরীর পানি বাড়ছে। এতে ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। বান্দরবান ও কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি ঘটেছে। তুমুল বৃষ্টি,পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের পানিতে কক্সবাজারে নতুন করে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

কক্সবাজারসহ পার্বত্য জেলাগুলোতে পাহাড় ধ্বস এবং মাটি চাপায় প্রতিদিন বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বন্যা ও জলাবদ্ধতায় লক্ষ লক্ষ মানুষ পানি বন্দী। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় কয়েকটি এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। পার্বত্য ৪ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহে বন্ধের মেয়াদ আরও দুই দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে সেনা নামানো হয়েছে।

অন্য খবর  দেশে কমবে জ্বালানির মূল্য, কেটে যাবে ডলার সংকট: সালমান এফ রহমান

মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলার সাতটি উপজেলার কমপক্ষে ৪৫টি ইউনিয়নের সাড়ে চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।

আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ আবহাওয়ার বিভিন্ন মডেল বিশ্লেষণ করে বলেন, আগামী ২ দিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার রাজ্যে অতিভারি বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃষ্টিপাতের পুরোটাই গঙ্গা-পদ্মা নদী দিয়ে প্রবাহিত হবে। ফলে আশংকা করা যাচ্ছে যে ফারাক্কা বাঁধের সকল গেট খুলে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যার কারণে পদ্মানদীর চর এলাকাগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হবে। অগ্রিম প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে চর এলাকার মানুষদের সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলগুলোর পূর্বাভাস অনুসারে চট্টগ্রাম বিভাগে আজকের পর থেকে ভারি বৃষ্টিপাত উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী বিভাগে শুক্রবারের পর বৃষ্টিপাত কমতে থাকবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও অবনতি ঘটার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।

আপনার মতামত দিন