মৈনট এখন পর্যটকদের একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। বর্ষায় যখন পদ্মা ভরা যৌবনে থাকে তখন মৈনটের সৌন্দর্য্য প্রকাশ পায় পূর্ণভাবে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে মৈনট কেমন থাকে, যখন পদ্মার পানি নিচে নেমে যায়, চার দিকে ধুলোয় ধুসরিত, সেই সময়ের ছবি নিয়ে এই আয়োজন।
![](https://news39.net/wp-content/uploads/2024/06/rashed-chokder-adha24-min.jpg)
মৈনট ঘাট, দোহার ও ফরিদপুরের মধ্যে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ একটি পথ। এখান থেকে ছাড়ে যমুনা পরিবহনের বাস। ফরিদপুরের মানুষ পদ্মা পাড়ি দিয়ে এই পথে ঢাকা যায়। দুর্গম হলেও অবকাশপিয়াসীদের আকর্ষণের যায়গা।
বিকেলে অনেকেই ঘুরতে আসেন এখানে, পদ্মার বুকে সূর্যাস্তের নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করে ফিরে যান। প্রথমে কার্তিকপুর বাজারে এসে সেখান থেকে অটোরিক্সা, রিক্সা বা সিএনজি চালিত গাড়ীতে করে যেতে হবে মৈনট, চাইলে হেটেও যাওয়া যায়, দুরত্ব খুব বেশি না। সাথে মাদুর জাতীয় কিছু নিয়ে গেলে বসে সময় কাটাতে পারবেন। বর্ষায় এখানে অন্যরকম সৌন্দর্য্য খেলা করে, শুষ্ক মৌসুমে মৈনট সময় কাটানোর জন্য দারুণ যায়গা। এই সময় নদীর পানি থাকে টলটলে নীলাভ সবুজ, চার দিকে শান্ত একটা পরিবেশ।
শুষ্ক মৌসুমে পানি যেহেতু নিচে নেমে যায় তাই বর্ষার আইকনিক সৈকতটা আর তখন থাকে না, ঢেও থাকে না, তবে শান্ত নীল জলে পা ডুবিয়ে হাটতে ভাল লাগবে, যদি গোসলের প্রস্ততি নিয়ে যাব তবে সবচে ভাল। এই সময় গোসল করতে দারূন লাগবে, অনেকটা সিলেটের ঝর্ণাগুলোর পনির মত শীতল ও আরামদায়ক। পুরো ঘাটে বালু একটু বেশি থাকে এই সময়।
মৈনটের পর্যটকরা দুই রকম, স্থানীয় ও বাইরে থেকে আসা। স্থানীয়রা সন্ধ্যার অসাধারণ মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে পারেন, দেখতে পারেন বর্ণালী সূর্যাস্ত, সন্ধ্যার শান্ত প্রকৃতি, শীতল বাতাস। কিন্তু যারা বাইরে থেকে আসেন তারা এগুলো পান কারণ সময় থাকতেই ঢাকার পথে রওনা দিতে হয়। যদি কোথাও থাকার ব্যবস্থা থাকে তবে এই প্রকৃতি উপভোগ করতে পারবেন।
![](https://news39.net/wp-content/uploads/2023/08/protiva-coaching-ad-primary-teacher-2023-min.jpg)