মৈনটে নিহত সানির মামলা: ১৫ বন্ধু রিমান্ড শেষে কারাগারে

54

ঢাকার দোহারের মৈনটে বেড়াতে গিয়ে বুয়েট ছাত্র তারিকুজ্জামান সানির পদ্মায় ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় মামলায় তার ১৫ বন্ধুকে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

গত ১৬ জুলাই এ ১৫ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দোহার থানার কুতুবপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক শামসুল আলম আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। তিনি মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।  আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন না দিয়ে তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এসব তথ্য জানান।

আসামিরা হলেন- সেজান আহম্মেদ, মো. রুবেল, মো. সজীব, শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, মো. নুরুজ্জামান, মো. নাসির, মো. নোমান, মো. জাহিদ, এ টি এম শাহরিয়ার মোমিন, মো. মারুফ, মো. আশরাফুল আলম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, মো. মারুফুল হক ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই বিকেলে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন মৈনট ঘাটে ১৫ বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে যান। সেখানে সন্ধ্যায় বাল্কহেডে দাড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে পিছলে পদ্মায় পড়ে  নিখোঁজ হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানি। পরে ১৫ জুলাই বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে মৈনট ঘাট থেকে সানির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের পঞ্চম সেশনের ছাত্র সানির বাবার নাম হারুন অর রশিদ। বাড়ি রাজধানীর হাজারীবাগে।

অন্য খবর  পহেলা বৈশাখে মৈনটে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়

মরদেহ উদ্ধারের পর শুক্রবার বিকেলে সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান দোহার থানায় মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় সানির সঙ্গে ঘুরতে see যাওয়া ১৫ বন্ধুকে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়।

আপনার মতামত দিন