রিমান্ড শেষে কারাগারে হত্যা মামলার আসামি নবাবগঞ্জের জাকির

281
নবাবগঞ্জের জাকির

নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল চালক হত্যা মামলার মূল আসামি জকির হোসেনকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান দুদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা( জিআরো) আব্দুল করিম বলেন, রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি জাকিরকে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এর আগে শুক্রবার উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের আবজাল নগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আসামি জাকিরকে আটক করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনবেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরপর আসামি জাকিরকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, দুই দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আসামি জাকিরকে আদালতে উপস্থিত করা হবে তাকে। রিমান্ডে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন।

এর আগে ২০২০ সালের ১লা অক্টোবর নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের চর সৈল্যা এলাকার মোটরসাইকেল চালক মো. জাকির (৪৫)কে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে চর শৈল্যার জাকিরের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়। জাকির ওই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। নিহতের ঘটনায় পুরান তুইতালের মো. রহিমের ছেলে শফিক (৪০) ও আফজাল নগরের মৃত শফিউদ্দিনের ছেলে মো. জাকির (৪২)সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে নিহতের স্ত্রী মোকসেদা বেগম নবাবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, নিহত জাকিরকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে চর শৈল্যার জাকিরের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়। নিহতের পিতা বলেন, আমার ছেলেকে ফোনে কল করেন স্থানীয় সফিক । ফোন পেয়ে আমার ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দেন সফিকের বাড়ির দিকে। কিছুক্ষণ পর ছেলের মুঠোফোনে কল দিলে আর সংযোগ পাইনি। পরে বিকালে ওয়ার্ড মেম্বার আমাকে জানান, জাকির অসুস্থ অবস্থায় শফিকুলের বাড়িতে পড়ে আছে। আমি গিয়ে জাকিরকে শফিকের ঘরের সামনে পড়ে থাকতে দেখতে পাই। আরো দেখতে পাই তার শরীরে বালু মাখানো ছিল। পরে শফিকুলের বোন ঘরের দরজা খুলে জাকিরের শার্ট এবং মোটরসাইকেলের চাবি দেয় আমাকে। হাসপাতালে নিতে চাইলে তারা কেউ আমাকে সহযোগিতা করেননি। উল্টো সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেছে আসামিরা।

আপনার মতামত দিন