নবাবগঞ্জের যন্ত্রাইলে বিএনপির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বারেকুর রহমান বারেকের সমর্থনে নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন আওয়ামী লীগের চার নেতা। এমনি অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা।
উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে আগামী ৭মে চতুর্থ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যন্ত্রাইল ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নন্দলাল সিং, বিএনপি প্রার্থী সেন্টু মোল্লা ও বিএনপির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা বিএনপি নেতা বারেকুর রহমান বারেক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আকুল বেপারী।
সূত্র জানায়, এ ইউনিয়নে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বারেকুর রহমান বারেকের হয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও যন্ত্রাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, যন্ত্রাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম মৃধা গিনি, সহ-সভাপতি স্বপন হালদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান। তারা বারেকুর রহমান বারেকের হয়ে সরাসরি ভোট চাইছেন বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা অভিযোগ করছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর আলম, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল কালাম আজাদ, যন্ত্রাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হালদার অভিযোগ করে বলেন, দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে তারা এক বিএনপি নেতার এজেণ্ডা বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছে। নির্বাচনী মাঠে তারা সরাসরি সভা, গণসংযোগ করছেন। বিষয়টি দলের উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের জানানো হয়েছে। তারা উচ্চ পর্যায়ে জানাবেন বলে শুনেছি।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করে নেতাকর্মীরা বলেন, নির্বাচন প্রচার চালাকালে ঐ বিএনপি নেতার পক্ষে গোবিন্দপুর রথখোলা, চন্দ্রখোলা কালি মন্দির প্রাঙ্গন ও নলগোড়া মাঠে তাদের সভা করতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এস এম মৃধা গিনি ও হাবিবুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করেন।
স্বপন হালদার বলেন, তৃণমূল উপেক্ষা করে প্রকৃত আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেয়া অন্য প্রার্থীর হয়ে কাজ করছি।
আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, দলের ক্রান্তিকালে অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। তবুও দল ছাড়িনি। কিন্তু জীবনে জয়বাংলা বলেনি এমন একজনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। দলের কর্মী হিসেবে আমি মেনে নিতে পারিনি। তাই এলাকাবাসীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে কাজ করছি।
নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। ওই নেতাদের বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে দলীয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।