মান্নান খানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল ২ ফেব্রুয়ারি

294

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় পরবর্তী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২ ফেব্রুয়ারির দিন ধার্য করেন আদালত। ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার নিপু মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন দোহার থানাকে। মামলায় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সালমা ইসলামসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজয় দিবস উপলক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে আব্দুল মান্নান খানের নাম ঘোষণা না করায় আসামির নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন বেআইনিভাবে সমাবেশে লাঠিসোটা, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলা করে এবং মঞ্চে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে পদদলিত করে। এ সময় বাধা দিলে আসামিরা বাদীকে মারধর করে এবং হাতঘড়ি ও চেইন ছিনিয়ে নেয়।

আব্দুল মান্নান খানের সন্ত্রাসী বাহিনী বাদীকে মেরে ফেলার উদ্দেশে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে কিন্তু সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর আসামির সন্ত্রাসী বাহিনী বাদীকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে ঘটনাস্থলে আসামিরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে এবং বোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে। মান্নান খানসহ অন্য আসামিরা সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের উপস্থিতিতে দোহার থানার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরুল কবির ভূঁইয়াকে অপমান ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়।

অন্য খবর  দোহারে নতুন করে ২১ জনের করোনা শনাক্ত

বাদীসহ সাক্ষীরা এ সময় বাধা দিতে গেলে আব্দুল মান্নান খান তাদের হত্যার হুমকি দেয় এবং এ বিষয়ে কোনো প্রকার মামলা করতে গেলে বাদীকে মেরে ফেলা হবে বলেও জানায়। এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার নিপুর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

আপনার মতামত দিন