নবাবগঞ্জের পশ্চিমাঞ্চলে মাটি বিক্রির মহোৎসব

644

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ,news ও শিকারীপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে এখন চলছে মাটি বিক্রির ধুম।সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাটি বিক্রি । প্রভাবশালী একটি মহল অর্থ লোভের আশায় দীর্ঘদিন ধরে এ মাটি ব্যবসা করে আসছে ।আর  এসব মাটি পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ ভারতীয় মাহেন্দ্রা ।

যার কারনে দুভোর্গ পোহাতে হয় এ অঞ্চলের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে পথচারী । একের পর জমি কেটে মাটি ব্যবসা করে আর এতে করে কমে আসছে ফসলী জমির পরিমান সেই সাথে পাল্লা দিয়ে কমছে জমির উর্বরতা ক্ষমতা ।রাস্তা ঘাট নষ্ট করে প্রভাবশালীদের এ মাটি ব্যবসা আর কত কাল চলবে নবাবগঞ্জের প্রত্যন্ত অবহেলিত  এ পশ্চিমাঞ্চলে এটাই সাধারন জনগনের প্রশ্ন।

এ অঞ্চলের বেশীর ভাগ রাস্তা মাটির  ও ইটের হওয়ার ফলে দিন রাত অবৈধ মাহেন্দ্রার অনিয়ন্ত্রিত চালনার ফলে রাস্তার দুপা’শ নিচু হয়ে হাঁটু পর্যন্ত ধুলার সৃষ্টি হয়েছে।

এখন চলাচল করা প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের সব কয়েকটি রাস্তা দিয়ে।রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব বলে শিক্ষার্থীদের মাঝে মধ্যে অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে স্কুলে ও কলেজে যেতে দেখতে পাওয়া যায়।এ অঞ্চলের পথচারীদের দুভোর্গের যেন শেষ নেই । একের পর এক বেড়েই চলছে মানুষের দুভোর্গ । বেশীর ভাগ সময়ই দেখা যায় মানুষের ফসলী জমির ওপর দিয়ে অনয়িন্ত্রিত ভাবে এসব গাড়ী  চালনার   ফলে মানষের জমির ফসল নষ্ট করছে।

অন্য খবর  দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন হবে দোহার-নবাবগঞ্জে

তবুও কোন ক্ষতি পূরন দিচ্ছে না।প্রভাবশালীদের দৌরাত্বের যেন শেষ নেই।শত শত জমির ফসল নষ্ট করে দরিদ্র কৃষকদেরও ঠেলে দিচ্ছে হুমকির মুখে ।

যাদের হাজার হাজার টাকার ফসলের নেই কোন ক্ষতি পূরন।এ অঞ্চলের মানুষের এর বিরুদ্ধে অভিযোগেরও শেষ নেই ।অনিয়ন্ত্রিত ভাবে এসব গাড়ী চলার ফলে এক দিকে সৃষ্টি হচ্ছে শব্দ দূষণ অপর দিকে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা-ঘাট । রীতি মতই দুভোর্গ পোহাচ্ছে সাধারণ জনগন ।স্থানীয় বাসিন্দা লিটন জানান,রাস্তা দিয়ে ধুলার জ্বালায় চলাচল করা যায় না,নাক চাইপ্যে কতক্ষন থাকা যায়?

পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রানের দাবি প্রশাসন যেন দ্রুত অনয়িন্ত্রিত ভাবে চালনার এসব গাড়ী বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেন।

আপনার মতামত দিন