নবাবগঞ্জে ভোট দেয়া নিয়ে ভোটারের সাথে বিবাদে মান্নান খান

290

ঢাকা-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থক ভোটারদের বাকবিতণ্ডা হয়েছে।

রোববার বেলা ১টার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার শহীদ মিনার রোডের ইউনুছ শপিং কমপ্লেক্সের সামনে এ বাকবিতণ্ডা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর একটার দিকে শপিং কমেপ্লেক্সের সামনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।

গাড়িতে উঠার প্রস্তুতি নিতে নিতে সেতু ক্লিনিকের বারান্দায় দাঁড়ানো কয়েকজন নারী ও পুরষকে লক্ষ্য করে মান্নান খান বলেন, “আপনারা ভোট দিতে যাননি?”

জবাবে কণক নামের নারী বলেন, “দেশে গণতন্ত্র আছে নাকি, যে ভোট দেব।”

কেন, কি হয়েছে- মান্নান খান জানতে চাইলে ওই নারী বলেন, “এটা কোনো ভোট হলো? আপনি তো এর আগে একদিনও জিজ্ঞেস করলেন না। আজ ভোটের দিন খোঁজ নিচ্ছেন।”

একথা শুনে মান্নান খান বলেন, “আপনি একজন প্রার্থীর সামনে এভাবে অভিযোগ করছেন, এটাই তো গণতন্ত্র। গণতন্ত্র আছে বলেই তো এটা পারছেন। সামরিক শাসন থাকলে এভাবে বলতে পারতেন না।”

তখন ওই নারীর সঙ্গে আরো কয়েকজন যুবক গলা মিলিয়ে মান্নান খানের সঙ্গে ঝগড়ায় নামেন। এক যুবক উচ্চস্বরে বলেন, “আমরাও আওয়ামী লীগ করি। কিন্তু আপনার কাছ থেকে আমার কিছুই পাই নি। শুধু অপমানিত হয়েছি।”

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ: আহত ৩০

এসময় উত্তেজিত হয়ে পড়েন মান্নান খান। পকেট থেকে হাত বের করে তর্জনি উঁচিয়ে কথা বলতে শুরু করেন সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী, “আপনারা কেউ আওয়ামী লীগ করেন না। আওয়ামী লীগ করলে কেউ এভাবে ভোটের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না। আপনারা টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন।”

চিৎকার-চেঁচামেচির মধ্যে কথা বলতে বলতে মাইক্রোবাসে উঠে স্থান ত্যাগ করেন মান্নান খান। তার চলে যাওয়ার সময় উপস্থিত প্রায় জনা পঞ্চাশেক লোক উচ্চ হাসি দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন।

ওই নারী নিজেকে সেতু ক্লিনিকের ম্যানেজার দাবি করে তিনি বলেন, “আমরাও আওয়ামী লীগ করি। কিন্তু মান্নান খানের ওপর বিরক্ত হয়ে আমাদের মতো অনেকেই ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকছেন। অনেকই সালমা ইসলামের ভোট করছেন।”

এসময় পাশ থেকে অনেকেই সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী সমর্থকদের বাকবিতণ্ডা মোবাইল ফোনে ভিডিও করেন।

আপনার মতামত দিন