ভাঙ্গছে দোহারের মৈনট ঘাট

612
মৈনট

ঢাকার দোহারের মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাট প্রবল নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে। যার ফলে পদ্মা নদীর তীরবর্তী এই পর্যটন এলাকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক, শ্রমিক, সড়ক ও নৌযান পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজন এবং এলাকাবাসী চরম উৎকণ্ঠায় মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, মৈনট ঘাট এলাকার তীর সংরক্ষণ ও ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না করলে অচিরেই পদ্মা নদীতে হারিয়ে যাবে এই পর্যটন এলাকাটি। ফলে বেকার হয়ে পড়বেন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী ও শ্রমিক।

স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর এ ঘাট থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়, কিন্তু ভাঙন রক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ফলে কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করেই ঘাট মালিকরা তাদের ইচ্ছামতো দোকানপাট তুলছে। এ ছাড়া ঘাটের পাশেই ইট বালুর ব্যবসার কারণে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে।

মৈনট ঘাটের ব্যবসায়ীরা জানান, বিগত সময়ে পদ্মার ভাঙনে তাদের ফসলি জমি, ঘরবাড়ি পদ্মার গর্ভে চলে গেছে। কোনোমতে এলাকায় ব্যবসা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে টিকে আছেন। চলমান মৌসুমে পদ্মায় স্রোতের বেগ বাড়ার ফলে নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে। কখন যে তাদের দোকান নদীতে চলে যায় তা নিয়ে চিন্তিত। ইতোমধ্যে কয়েকটি দোকান ও স্থাপনা নদীতে পতিত হয়েছে।

অন্য খবর  প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে দোহারে তৈরি হবে অর্থনৈতিক অঞ্চল

মৈনট ঘাটের হোটেল ব্যবসায়ী মামুন বলেন, এক সময় আমাদের প্রচুর জমি ছিল যা এখন পদ্মার গর্ভে। বিনোদনের জন্য এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি করি। আমরা সরকারে কাছে দাবি জানাই, পর্যটন এলাকাটিকে পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা করা হোক।

এদিকে ঘাট মালিকরাও প্রাথমিকভাবে ভাঙন রোধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। হুমকির মুখে এ পর্যটন এলাকাটিকে রক্ষা করতে সরকারের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা করা।

দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা বলেন, মৈনট ঘাটের ভাঙনের বিষয়টি আমি শুনেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড এ ব্যাপরে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বস্ত করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ মৌসুমে ভাঙন প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে না। আগামী শুকনো মৌসুমে ড্রেজিং করে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করলে হয়তো ভাঙনরোধ করা যেতে পারে। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

মৈনট ঘাটের ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা করা না হলে প্রতি বছর সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে। এ ছাড়া মিনি কক্সবাজার সংলগ্ন নারায়ণপুর, চরকুসুমহাটি গ্রামসহ প্রায় ৬/৭টি গ্রাম পদ্মার গর্ভে চলে যাবে। বাড়বে ভূমিহীন কৃষক ও শ্রমিকের সংখ্যা।

আপনার মতামত দিন