গত কয়েক দিনে পদ্মা নদীর পানি বেড়ে তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ভাঙন। ফলে দোহার-নবাবগঞ্জের নয়াবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দারা ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম সময় পার করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের বৈরী আবহাওয়ার কারণে নয়াবাড়ী ইউনিয়নের বাহ্রাঘাট, নয়াডাঙ্গী, অরঙ্গাবাদ, পানকুণ্ড ও ধোয়াইর এলাকার পরিবারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ভাঙনের মুখে থাকা পরিবারগুলো। পাঁচ-ছয়টি পরিবারকে বেড়িবাঁধে ঘর তুলে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
এদিকে দোহার-নবাবগঞ্জ-মানিকগঞ্জ (কাশিয়াখালী বাঁধ) বেড়িবাঁধের ধোয়াইর বাজারসংলগ্ন দেওয়ান বাড়ির মোড়ে প্রায় ১৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। গত দুই বছরে বাঁধের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর কোনো ধরনের সংস্কারকাজ হয় নি। এতে দোহার-নবাবগঞ্জের লক্ষাধিক মানুষ বন্যার হুমকিতে রয়েছে।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, যে কোনো সময় উত্তাল পদ্মার পানির চাপে এ বেড়িবাঁধের বেশির ভাগ অংশ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।বাহ্রা গ্রামের এক তাঁতি পরিবারের সদস্য বলেন, “বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ওয়াদা করেছিলেন নির্বাচিত হলে পদ্মার ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখি নি।”
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম বলেন, “পদ্মা ভাঙন প্রতিরোধে দোহারবাসীকে দেয়া প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে। কাগজপত্রে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন। নতুন অর্থবছরের অর্থ ছাড় পেলেই কাজ শুরু হবে।”
ধোয়াইর গ্রামের আ. মজিদ (৬০) বলেন, “সরকার অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও আমরা কিছুই পাইনি। ওনারা শুধু আশ্বাস দিয়ে যান। ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন আমরা অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।”