বুয়েট প্রশাসনের আরেকটু সতর্ক থাকা দরকার ছিল: আসাদুজ্জামান খান কামাল

344
আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বুয়েট প্রশাসনের আরেকটু কেয়ারফুল (সতর্ক) থাকার দরকার ছিল। আরেকটু সতর্ক থাকলে হয়তো আবরার হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা নাও ঘটতে পারত। শুক্রবার দুপুরে তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত প্রধান ফটক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি।

আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে আবরার হত্যার মতো কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের প্রতি কী নির্দেশনা দেবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাক না দিলে পুলিশ ভেতরে ঢোকে না, আপনারা সেটা জানেন। এ জায়গাটিতে বুয়েট কর্তৃপক্ষের আরেকটু সতর্ক থাকার দরকার ছিল। ভবিষ্যতে প্রশাসন ছাত্রদের প্রতি আরও নজর দেবে, দায়িত্ববান হবে বলে মনে করি। মন্ত্রী বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ড যারা সংঘটিত করেছিল এদের প্রায় সবাইকে আমরা ধরে ফেলেছি। এ পর্যন্ত ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আমি আগেও বলেছি আজও বলছি, অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এ মামলার চার্জশিট দেয়া হবে, আশা করছি তদন্তসংশ্লিষ্ট সংস্থা দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলা তদন্ত সম্পন্ন করবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও অনেক ঘটনাই ঘটেছে, আমরা সনি হত্যাও দেখেছি। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডটি সবার হৃদয়ে দাগ কেটেছে। আমি আশা করব, আমাদের ছাত্র সমাজ এ ধরনের ঘটনা আর দেখবে না। আবরার হত্যার পেছনে মূল কারণ কী জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ খুনের পেছনের কারণটা কী এটা আমাদের দেখতে হচ্ছে। যারা ধরা পড়ছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তদন্ত চলছে, এর পেছনে মোটিভটা কী জানার চেষ্টা চলছে। এমনি এমনি একজন আরেকজনকে হত্যা করবে এটা যেমন বিশ্বাসযোগ্য নয়, এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে, আরও কিছু উদ্দেশ্য আছে। সবই আমরা খতিয়ে দেখছি।

অন্য খবর  দোহার নবাবগঞ্জ পাচ্ছে ২ মন্ত্রী!

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করতে এসেছে, তারা সবাই মেধাবী। এ ধরনের মেধাবীরাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তার ভেতরে নিশ্চয়ই কোনো কারণ রয়েছে। সে কারণগুলো উদ্ঘাটন করে নিখুঁত ও তথ্যসমৃদ্ধ চার্জশিট দিতে চাই।

আপনার মতামত দিন