প্রধানমন্ত্রীর অভিলাষে পদ্মা কলেজ সরকারি হয়েছে, হবে জয়পাড়াওঃ আইজিআর খান মান্নান

1365

শনিবার দোহারে পদ্মা কলেজের একাডেমী কার্যক্রমের পর্যালোচনা উপলক্ষ্যে আয়োজিত রোভার স্কাউটের গার্ড অব অনারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহানিবন্ধন পরিদর্শক , সাবেক দায়রা জজ ও পদ্মা কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ড. খান মোঃ আব্দুল মান্নান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা জাতীয়করণের অধিগ্রহণ নীতিতে পদ্মা কলেজ সরকারি হয়েছে, হবে জয়পাড়া কলেজও। ইতঃমধ্যে জয়পাড়া পাইলট স্কুলও সরকারি করণের পথে রয়েছে। আগামীতে এইভাবে দোহারের বিভিন্ন খ্যাতিমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারিকরণ করা হবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ১৯৭২সালে দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন জয়পাড়া কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ৫০০ টাকা দান করি। আমি যেমন পদ্মা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা তেমনি জয়পাড়া কলেজেরও। শিক্ষা বিকেন্দ্রীকরণ নীতির আওতায় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক উপজেলায় একটি কলেজ সরকারি করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গত জুন ও আগস্টে দুটি তালিকা প্রকাশ হয়। নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে নম্বর দিয়ে গ্রেডিং করে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। গ্রেডিং করার সময় সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া কলেজকে এক নম্বরে এবং তার চেয়ে কম পাওয়া কলেজকে দুই নম্বরে রাখা হয়। এভাবে একটি উপজেলার সর্বোচ্চ ৪-৫টি কলেজকে তালিকাভুক্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। গ্রেডিং করার সময় শিক্ষক, শিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, কলেজের ফলাফলের পরিসংখ্যান, ঐতিহ্যবাহী, নিজস্ব জমিসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় দেখা হয়। আর এসব প্রক্রিয়ায় দোহার উপজেলার প্রথম যোগ্য কলেজ হিসাবে পদ্মা কলেজেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তালিকাভূক্তির নির্দেশ দেন। এটি সরকারি সিদ্ধান্ত ও প্রক্রিয়া এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অভিলাষ।

অন্য খবর  দোহার ব্লাড ব্যাংকের রক্তের গ্রুপ নির্নয় কর্মসূচি পালিত

তিনি আরও বলেন, এবার আমরা সবাই জয়পাড়া কলেজসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও সরকারিকরনে গুরুত্ব দিব। তিনি পদ্মা বাঁধ নির্মাণসহ পদ্মা কলেজ ও জয়পাড়া মডেল স্কুল সরকারি হওয়ায় এবং দোহার নবাবগঞ্জবাসীর জীবন মান পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান একই সাথে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষম্মতায় দেখতে চান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশনের সভাপতি আজিজুর রহমান বাবুল, প্রকৌশলী আবুল কাশেম, ফ্যামস স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন সোহাগ, মুকসুদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, পদ্মা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুজিবুল হায়দার, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জালাল হোসেন সহ শিক্ষক, কর্মচারি সহ অনেকে।

এরপর আইজিআর ড. কে এম মান্নান উপস্থিত কলেজের সকল ছাত্র ছাত্রীদের কে সকালের নাস্তা খাওয়ান।

আপনার মতামত দিন