প্রতিদিনের হাদিসঃ ভাগ্য পরীক্ষা বা ভাগ্য গননা

427
প্রতিদিনের হাদিস

হাদিস নং ৩৮৬৪: মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) – – – আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন গণকের নিকট যায়; রাবী মূসা বলেনঃ আর সে ব্যক্তি তার কথায় বিশ্বাস করে; অথবা সে তাঁর স্ত্রীর নিকট গমন করে। রাবী মুসাদ্দাদ (রহঃ) বলেনঃ অথবা সে তার স্ত্রীর পশ্চাদদ্বারে সংগম করে; সে যেন আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর নাযিলকৃত দীন হতে মুক্ত (অর্থাৎ গুমরাহ) হলো।

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

হাদিস নং ৩৮৬৬: কা’নাবী (রহঃ) – – – যায়দ ইবন খালিদ জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদায়বিয়াতে আমাদের সঙ্গে ফজরের সালাত আদায় করেন। তখন রাত্রিতে কিছু বৃষ্টি হওয়ার চিহ্ন বাকী ছিল। সালাত শেষে তিনি লোকদের বলেনঃ তোমরা কি জান, তোমাদের রব কি বলেছেন? সাহাবীগণ বলেনঃ এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন, ফজরের সময় আমার কিছু বান্দা মু’মিন এবং কিছু সংখ্যক কাফির হয়ে গেছে। যারা এরূপ বলেছেঃ আমরা আল্লাহর রহমত ও বরকতে পানি পেয়েছি, তারা তারা তো আমার প্রতি বিশ্বাসী এবং তাঁরার প্রভাবের প্রতি অবিশ্বাসী। পক্ষান্তরে যারা এরূপ বলেছেঃ অমুক অমুক তারা আমার অস্বীকারকারী এবং তারার প্রতি বিশ্বাসী।

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

হাদিস নং ৩৮৬৮: ইবন বাশশার (রহঃ) – – – মুহাম্মদ ইবন জা’ফর (রাঃ) থেকে বর্ণনা। তিনি বলেনঃ আওফুল-ইয়াফা’ হলো- ভাল-মন্দ নির্ধারণের জন্য পাখী উড়িয়ে দেওয়া এবং ‘তুরুক’ হলো- জ্যোতিষীদের মাটিতে দাগ কেটে শুভ-অশুভ নির্ণয়ের প্রথা।

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

অন্য খবর  প্রতিদিনের হাদিসঃ কোরআন পাঠ

হাদিস নং ৩৮৬৯: মুহাম্মদ ইবন কাছীর (রহঃ) – – – আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার বলেনঃ পাখীর শুভাশুভ নির্ণয় করা শিরক। এ ব্যাপারে যদি কারো মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়, তবে তা মহান আল্লাহ তাঁর প্রতি তাওয়াককুলের কারণে দূর করে দেবেন।

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

হাদিস নং ৩৮৭১: মুহাম্মদ ইবন মুতাওয়াক্কিল (রহঃ) – – – আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন রোগ ছোঁয়াচে নয়, কোন বস্তুতে শুভাশুভের কোন প্রভাব নেই, না সফর মাস অমঙ্গলের মাস এবং না কোন মৃতের খুলিতে পেঁচার প্রভাব আছে। তখন জনৈক আরাবী বলেনঃ যদি এরূপ অবস্থা হয়, তবে মরুভূমির উটদের ব্যাপারে কি? যারা হরিণের মত সুস্থ হয়, পরে যখন তাদের সাথে কোন খোস- পাঁচড়া উট মিলিত হয়, তবে সবই ঐ রোগে আক্রান্ত হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তবে প্রথম উটটি কিরূপ খোস- পাঁচড়া বিশিষ্ট হয়?

রাবী মুআম্মার(রহঃ) বলেন, ইমাম যুহরী বলেছেনঃ আমার নিকট এক ব্যক্তি আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেন, যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  কে বলতে শোনেনঃ অসুস্থ উটকে সুস্থ উটের সাথে পানি পান করানোর জন্য আনা যাবে না। ঐ ব্যক্তি আবূ হুরায়রা (রাঃ) –এর কাছে গিয়ে বলেনঃ আপনি কি এ হাদীছ আমাদের কাছে বর্ণনা করেন নি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন রোগ ছোঁয়াচে নয়, সফর মাসে অমঙ্গলের মাস নয়, আর না মৃতের খুলিতে পেঁচার প্রভাব আছে? তিনি (আবূ হুরায়রা রা) বলেনঃ আমি তো এরূপ হাদীছ বর্ণনা করিনি।

অন্য খবর  হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৭৫ বাংলাদেশির মৃত্যু

 ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেনঃ হাদিছটি আবূ সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। অথচ হাদীছটি আবূ হুরায়রা (রাঃ) নিজেই বর্ণিত করেন, (কিন্তু পরে তিনি তা ভুলে যান)। রাবী বলেনঃ আমি এ হাদীছ ছাড়া আর কোন হাদীছ সম্পর্কে শুনিনি যে, আবূ হুরায়রা (রা) ভুলে গেছেন।

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

হাদিস নং ৩৮৭৫: মুহাম্মদ ইবন মুসাফফা (রহঃ) – – – রাবীআ’ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি মুহাম্মদ ইবন রাশিদ (রাঃ) –কে জিজ্ঞাসা করি যে, নবী (রাঃ) –এর কথা ‘হাম’ শব্দের অর্থ কি? তিনি বলেন : জাহিলী যুগে লোকেরা এরূপ মনে করতো যে, মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর তার আত্মা পেঁচার রূপ ধারণ করতো। এরপর আমি জিজ্ঞাসা করি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম –এর ‘সফর’ শব্দের অর্থ কি? তিনি বলেন : জাহিলী যুগে  লোকেরা সফর মাসকে অমঙ্গলের মাস হিসাবে বিবেচনা করতো, এজন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ না, সফর মাস এরূপ নয়।

মুহাম্মদ ইবন রাশেদ বলেনঃ আমরা শুনেছি, কোন কোন লোক এরূপ বলতো যে, সফর মাসে এক ধরনের  পেটের ব্যথা হতো, যে জন্য তারা বলতো, এটি ছোঁয়াচে রোগ। এ করনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ না, সফর মাস এরূপ নয়, যেরূপ তোমরা ধারণা কর।

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

গ্রন্থ:সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)

পাবলিশার:ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আপনার মতামত দিন