এবার পুলিশের পরিচয়ে হাজারবিঘায় ডাকাতি

279

বিলাসপুরে বহুল আলোচিত সহিংসতার রেশ কাটতে না কাটতেই এক রাতে তিন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে ৫ প্রবাসীর বাড়িসহ ছয় বাড়িতে হানা দেয় ডাকাত দল। পুলিশের পরিচয় দিয়ে এসময় ডাকাতদল ছয় বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকাসহ ২০ ভরি স্বর্ণ ও সাত ভরি রুপা সহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে।

ডাকাতির স্বীকার হওয়া পরিবাররা জানান, ১৪ থেকে ১৫ জনের ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয় অস্ত্র  সজ্জিত হয় এই ডাকাতিতে অংশ নেয়।

সাম্প্রতি বিলাসপুরে সহিংসতায় নিহত মকবুল হোসেনের পাশের আফজাল ফকিরের বাড়ি থেকে ডাকাতি শুরু করে। রাত ১টার সময় পুলিশের পরিচয় দিয়ে ডাকাতদল তাদের ঘর খুলতে বলে। এসময় ঘর খুললে অস্ত্রের মুখে তাদের কাছ থেকে ৩৮ হাজার টাকা লুট করে। এরপর আফজাল হোসেনের প্রবাসী বড় ছেলে আনোয়ার হোসেনের ঘরে হানা দেয় ডাকাতদল। এসময় আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী সাজেদা বেগমের কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণ লুট করে। এরপর আফজাল ফকিরের মেঝ ছেলে দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী তানিয়া আক্তারের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণ হাতিয়ে নেয়।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, দুভোর্গে মানুষ

এরপর ডাকাতদল শেখ আজিজের বাড়িতে হানা দেয়। এসময় শেখ আজিজের স্ত্রী নাহার বেগম ও মেয়ে সুফিয়ার কাছ থেকে ঘরে থাকা নগদ ৪৮ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণ ও ৫ ভরি রুপার অলঙ্কার লুট করে।

এরপর ডাকাতদল বিল্লাল হোসেন ও আনোয়ার হোসেনের বাড়ি থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণ ও ২ ভরি রুপার অলঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
এরপর ডাকাতদল হান্নান মৃধার বাড়ি থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণ, রজ্জব মৃধার বাড়ি থেকে ৫৫ হাজার টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণ, তোতা মিয়ার বাড়ি থেকে ৪৫ হাজার টাকা ও  ৪ ভরি স্বর্ণলঙ্কার লুট করে।

দোহার থানার ওসি কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এবং অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবেন বলে নিউজ৩৯ কে নিশ্চিত করেছেন।

আপনার মতামত দিন