ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের এমপি সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেছেন, অনেকে এখন বসন্তের কোকিল এসেছেন পদ্মার ভাঙ্গন রোধে বরাদ্দকৃত ১১৪ কোটি টাকার কৃতিত্ব ছিনতাই করতে। আপনারা এদেরকে চিনে রাখুন এবং ভেবে দেখুন, কে আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকে। আজ অনেকে অনেক বড় বড় কথা বলছেন। তারা অনেক বড় বড় নেতা, মন্ত্রী, এমপি ছিলেন। তারা কি কখনো পদ্মা ভাঙ্গন রোধে কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন? কিন্তু আমি নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক ঘুরে পানি-সম্পদ মন্ত্রানালয় থেকে ১১৪ কোটি টাকার বরাদ্দ করেছি। বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে তদবির করে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলে দ্রুত কাজটি করার প্রক্রিয়া চলছে। সোমবার বিকালে দোহারের নয়াবাড়ী ইউনিয়নের পদ্মা পারে বাহ্রাঘাটে জাতীয় পার্টির সমাবেশ ও যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে ওয়াদা করে ভোট নিয়েছিলাম। তাই আমি কি নিয়ে আপনাদের সামনে আসবো? আমি কি খালি হাতে আসতে পারি? তাই আমি পদ্মা পাড়ের মানুষের খুশির সংবাদ নিয়ে এসেছি। আগামী কিছুদিনের মধ্যে আমি এই টাকা বরাদ্দ পাবো এবং তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরু করতে পারবো ইনশা-আল্লাহ। এসময় তিনি তার আমলে সম্পর্ন হওয়া রাস্তা-ঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, ক্লিনিক সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প তুলে ধরেন।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে সালমা ইসলাম বলেন, কথা আর বক্তব্য দিয়ে নয়, কাজের মাধ্যমে আপনাদের সেবা করতে চাই। আমার নিবার্চনী অঙ্গিকার ছিলো পদ্মা ভাঙ্গন রোধে উদ্যোগ নেয়া। সেই কাজটি করতে আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি। আপনারা আমার পাশে থাকলে অল্প দিনেই তা সম্ভব হবে। আমি কাজে বিশ্বাসী। আমার দলের লোকজন কোনো দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী করলে আমাকে জানাবেন।
সভায় নায়াবাড়ী ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সভাপতি ডা. সরফুদ্দিন এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মশিউর রহমান, দোহার উপজেলা জাতীয় পার্টির যুন্ম-আহবায়ক ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ, সদস্য সচিব আব্দুল আলিম, নাবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয়পর্টির যুগ্ম-আহবায়ক খন্দকার নূরুল আনোয়ার বেলাল, জুয়েল আহাম্মেদ, মাহফুজ আহম্মেদ, মনির, নজরুল প্রমূখ।