নিউজ৩৯.নেট ♦ ঢাকার দোহারের বিলাসপুর ইউনিয়নে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান বলেন, এবারের নির্বাচনে নৌকা ঠিকই ছিল কিন্তু দোহারের মানুষ নৌকার মাঝিকে প্রত্যাখান করেছে।
শোক সভায় মাহবুব মান্নান খান ও মোতালেব খান সম্পর্কে বলেন, বিগত পাঁচ বছরে আ. মান্নান খান ও তার ভাই মোতালেব খান ঘাটে, হাটে-বাজারে সব জায়গায় থেকে বিভিন্ন উপায় অর্থ উপার্জন করেছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে মান্নান খানের ভাই মোতালেব খান জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে এবং মোতালেব খানের নামে মামলাও হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দোহারের এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অবহিত আছেন। গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের, ড. দীপু মনিসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দোহারে এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্তে আসার কথা ছিল। কিন্তু জাতীয় সংসদে তাদের শপথ নেয়ায় তারা আসতে পারেননি। কিন্তু এ হত্যাকান্ডের বিচার অবশ্যই হবে। তিনি বিলাশপুর ইউনিয়নবাসীকে ধৈর্য ধারণ করার আহবান জানান।
দোয়া মাহফিলে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল উপস্থিত হয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বলেন, আজকে এখানে এভাবে আমার আসার কথা না। কিন্তু আমাকে আসতে হয়েছে। আপনারা আওয়ামীলীগের লোক হয়েও আমার স্ত্রী সালমা ইসলামকে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। সে জয়ী হয়েছে। এ কারণেই প্রতিপক্ষ ক্ষুদ্ধ হয়ে এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল, সহ-সভাপতি ও বিলাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন শিকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আনারকলি পুতুল, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম বেপারী, জাহাঙ্গীর বেপারী, জাতীয় পার্টির ডা. আলাউদ্দিন, আলিম, লায়ন আব্দুস সালাম প্রমুখ।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় মান্নান খানের সমর্থকদের হাতে নিহত মকবুল হোসেন, পিতা মুকসেদ (মুসা) খন্দকার এবং পূত্র মাসুদ খন্দকারের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।