নিউজ৩৯ এক্সক্লুসিভঃ “মুক্তিযুদ্ধে দোহার-নবাবগঞ্জ” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের স্মৃতিচারণ

    863

    জনাব আসাদুজ্জামান খাঁন, এমপি, মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খাঁন, এম. পি ১৯৫০ সনের ৩১ ডিসেম্বর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেনে। তার পৈতৃক নিবাস ঢাকা জেলার দোহার উপজলার, শাইন পুকুর গ্রামে।  তিনি মরহুম-আশরাফ আলী খাঁন এবং মাতা মরহুম- আকরামুন নেসার দ্বিতীয় সন্তান। ১৯৬৫ সনে তেজগাঁও পলিটেকনিক হাই স্কুল হতে এস, এস, সি ও ১৯৬৭ সনে জগন্নাথ কলেজ থেকে এইচ, এস, সি পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি, এস, সি অর্নাস সম্পন্ন করেন। তিনি বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়াও ঢাকা মহানগরে (উত্তর) আওয়ামী-লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

    তিনি ছাত্র জীবন থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা । ২নং সেক্টর এর ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরী এর অধীনে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ ঢাকা সদরের ২২টি থানার মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানের দায়িত্ব তাকে দেয়া । ২নং সেক্টর থেকে ক্যাপ্টেন(অব) আঃ হালিম চৌধুরী তাকে এই দায়িত্ব দেন।

    জনাব আসাদুজ্জামান খান কামাল স্মৃতিচারণ করেছেন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দোহার-নবাবগঞ্জ, শ্রীনগর ও মানিকগঞ্জ যুদ্ধের। দোহারের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের সময়কার দেশ মাতৃকার জন্য আত্মোউতসর্গকারী  শহীদ মাহফুজ সহ স্মরণ করেছেন সকল মুক্তিযোদ্ধাকে।

    নিউজ৩৯এর পাঠকদের জন্য মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান কামালের সেই এক্সক্লুসিভ স্মৃতিচারণ তুলে ধরা হলো; যা থেকে পাঠক জানতে পারবে রণাঙ্গনের নেতৃত্বদানকারী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে “মুক্তিযুদ্ধে দোহার-নবাবগঞ্জ।”

    “রনাংগনের স্মৃতি”

                                     ——-   আসাদুজ্জামান খান কামাল

    মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় চেতনা এবং শৌর্য বীর্যের প্রতীক। দীর্ঘ ৯ মাসের এক রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে সংযোজিত হয়েছে এক অধ্যায়ের, যার নাম বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের স্বল্প সময় অতিক্রান্ত হতে না হতেই আমরা ভুলে গেছিলাম আমাদের সেই গৌরবজ্জ্বল মুক্তির সংগ্রামকে, স্বাধীনতার ইতিহাস এবং মূল্যবোধকে, ভুলে গেছিলাম আমাদের সর্বকালের সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে। আজ আমরা আবার তা ফিরিয়ে এনেছি , ফিরিয়ে এনেছি মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনাকে, আমাদের নেতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

    ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে প্রথমে আমাদের স্বাধীকার আন্দোলনের সূচনা হয়। পাকিস্থান হওয়ার পর বাঙ্গালী জাতি অনুধাবন করতে পারে যে, পৃথক সত্তা, পৃথক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ধারক হওয়া সত্ত্বেও কেবলমাত্র ধর্মের নাম দিয়ে দুটি জাতি একত্রিত থাকতে পারে না। এই উপলব্ধি থেকেই ১৯৬৬ সালে ৬ দফা প্রনীত হয়। ৬ দফা ক্রমেই একটি জনদাবীতে পরিনত হয় এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে রুপ নেয়। ফলশ্রুতিতে ১৯৬৯ সালে সর্বদলীয় ছাত্রদের ১১ দফা ভিত্তিক আরেকটি গন অভ্যত্থান সংগঠিত হয়। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এই গন অভ্যত্থানে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তখন বংগবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আগরতলা মামলার আসামী হিসাবে কারাগারে ছিলেন। ১৯৭০ সালের গনভোটেও বঙ্গবন্ধুর প্রনীত ৬ দফা জনগনের ম্যান্ডেট লাভ করে। এবারও স্বৈরাচারী সরকার জনগনের মতামত এর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায়। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাঙ্গালী জনগন। দখলদারী পাকিস্থানীদের আসন্ন আক্রমণের মনোভাব আঁচ করতে পেরেই ৭ মার্চ ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “ এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” এই ঘোষনা জাতিকে একটি সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য ঐক্যবদ্ধ করে। এরপর সবকিছু ঘটে যাক ছক বাধা নিয়মে। ২৫ মার্চ ১৯৭১ সাল রাত্রে হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র সাধারন মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠে আবাল বৃদ্ধ বণিতা। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।

    অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জসহ ১৪ উপজেলায় সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা

    এরপর কর্নেল(অব) ওসমানীর নেতৃত্বে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। তিনটি পর্বে এই যুদ্ধ সম্পন্ন হয়। (১) প্রস্তুতি ও গনসংযোগ পর্ব, (২) আত্মরক্ষা ও হঠাট আক্রমন পর্ব, (৩)আক্রমন পর্ব- সারাদেশের মত দোহার থানার আবাল বৃদ্ধ, যুবা ঝাপিয়ে পড়েন এক গৌরবজ্জ্বল যুদ্ধে।

    ৭ই এপ্রিল আমরা ক্যাপ্টেন(অব) আব্দুল হালিম চৌধুরীর নেতৃত্বে সংগঠিত হয়। ১২ই এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় দোহারের সংযুক্ত মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের আজিমনগর গ্রামে। এ বৈঠকে আমার সংগে দোহারের সাইদুর রহমান(খোকা), বোরহান, শহীদ মাহফুজ, আব্দুর রঊফ, আব্দুল মান্নান, জাহাঙ্গীর প্রমুখসহ ১২ জন উপস্থিত ছিলেন। এতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে গন সমর্থন আদায় করতে হবে। যুবকদের সংগঠিত করতে হবে, প্রবাসী সরকার ও মুক্তিযুদ্ধ এর কেন্দ্রীয় কমান্ডের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে এবং যুবকদের জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সামরিক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে। মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ ঢাকা সদরের ২২টি থানার মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানের দায়িত্ব দেয়া ২নং সেক্টর থেকে ক্যাপ্টেন(অব) আঃ হালিম চৌধুরীকে। তিনি যুদ্ধের মাঝামাঝি সময় তার একটি বিশেষ বাহিনীর নেতৃত্ব  এবং তার সাথে ২২টি থানার যোগাযোগ ও সমন্বয়ের দায়িত্ব দেন আমাকে। যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে হালিম চৌধুরী আমাদের হাতে কিছু রাইফেল তুলে দেন এবং মুক্তিযুদ্ধাদের কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত করে দেন। নারিশা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত নারিশা ইউনিয়ন, মুকসুদপুর ইউনিয়ন, শ্রীনগর থানায় সম্পূর্ন এবং ক্রমান্বয়ে মুন্সিগঞ্জের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য আমাদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তখন থেকেই শুরু হয় এ এলাকার মুক্তিযুদ্ধ।

    দোহার থানার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস আলোচনা করতে গেলে যার নাম সর্বাগ্রে আলোচনা করা প্রয়োজন তিনি হলেন শহীদ মাহফুজ(বীর প্রতীক)। অমীয় তেজ, অপরিসীম সাহসী যোদ্ধা মাহফুজ একদিনের জন্যও যুদ্ধ ময়দান ত্যাগ করেন নাই। যুদ্ধের প্রায় শেষ পর্যায় হরিরামপুরে শত্রুর বেতার স্থাপনায় আক্রমনের সময় তিনি অগ্নিদগ্ধ হন এবং পরে শাহাদাৎ বরন করেন। দোহার থানায় তিনি একমাত্র শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। তার উল্লেখযোগ্য যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে সুতালহরীতে পাক সেনাদের সাথে মুখোমুখি যুদ্ধ, মানিকগঞ্জে অতর্কিত আক্রমন, হরিরামপুর মুক্ত করার যুদ্ধ। এ যুদ্ধে মিলিশিয়া, ইপিআর, রাজাকার মিলে প্রায় শতাধিক পাক সৈন্যের সাথে মুখোমুখি যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে দুই জন পাঠান সেনা স্বপক্ষ ত্যাগ করে মুক্তিযোদ্ধাদের দলে যোগ দেন।

    আরেকটি উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ হয় নবাবগঞ্জ থানার ইছামতীর তীরের গালিমপুরে। বাঘড়ার হারুন এযুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দেয়। পাকসেনাদের গ্রুপ প্রধান ছিলেন ক্যাপ্টেন জাফর উল্লাহ্ খান। পাকিস্থানী পক্ষের ক্যাপ্টেন জাফর আলী এই যুদ্ধে নিহত হন।

    যুদ্ধের কয়েকটি ঘটনা আমাকে এখনও বিশেষ ভাবে নাড়া দেয়। শহীদ মাহফুজ, বাঘড়ার নুরুল ইসলাম ও নারিশার আঃ সাত্তার, একেএম সিরাজ প্রথম বারের মতো আমাদের ঢাকা পশ্চিম অঞ্চলের জন্য অস্ত্র নিয়ে ভারত থেকে ফিরছিল। এ সময় পাকিস্থানী সৈন্যদের হাতে মারাত্মকভাবে আহত হন আলাউদ্দিন। যিনি মৃত্যুর আগেও নিজের জামা খুলে মুখে গুজে নিয়েছিল যাতে তার আত্মচিৎকারে পাকিস্থানী বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান চিহ্নিত করতে না পারে। আরও একজন মুক্তিযোদ্ধা তার রাজাকার পিতাকে মারার জন্য আমার কাছে এন্টি পারসোনাল মাইন চেয়েছিল।

    অন্য খবর  সদ্য বিদায়ী ইউএনওর সাথে নিউজ৩৯ ও ডিএনএসএমের বিদায়ী সাক্ষাৎ

    যুদ্ধের সময় দুই একটি মজার ঘটনাও ঘটে। দোহার থানা শত্রু মুক্ত হওয়ার সময় আমরা নারিশায় পাকিস্থানী বাহিনীকে ঘেরাও করি এবং আক্রমণের চরম মুহুর্তে দেখা গেল তখনকার ইপিআরের এক সিপাহীকে দেখা গেল সে তার এলএমজি চালাচ্ছে না। সেই সিপাহীর কাছে গিয়ে দেখি সে ভয়ে কাপছে আর বলছে আমি তো অটোমেটিক ভুইল্লা গেছি। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাক বাহিনী চোখের নিমিষে নদীর তীরে চলে যায় এবং অবস্থান গ্রহন করে।

    আর একদিনের ঘটনা, ঝিটকা ব্রীজের নিচ দিয়ে যাচ্ছিলাম, এসময় রাজাকাররা আমাদের নৌকা দেখে প্রশ্ন করে কে যায়? মাঝি প্রথমবার নিরুত্তর থাকে। এসময় রাজাকাররা আবার প্রশ্ন করে কে যায়? এবার মাঝি উত্তর দেয় বিপদ। রাজাকাররা আবার হাকে কে যায়, এবার মাঝি জোরে বলে উঠে “বিপদ”। এই শুনামাত্র রাজাকার ও পাকসেনারা উঠে দৌড় দেয়। ঘটনা ক্রমে মাঝির নামই ছিল “বিপদ”।

    অনেকের নামই এখন মনে পড়ছে না। তবু যারা প্রথম থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং দোহার-নবাবগঞ্জ-শ্রীনগরে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করার জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তারা হলেনঃ

    ১। সিরাজ মিয়া ২। সাইদুর রহমান খোকা ৩। আসাদুজ্জামান খান কামাল ৪। ডাঃ আবুল কালাম ৫। আঃ ছাত্তার ৬। আনিছ মাস্টার ৭। আব্দুল হাই ৮। আব্দুর রউফ ৯। আব্দুল মান্নান খান ১০। রজ্জ্বব আলী ১১। মুরুল ইসলাম খান ১২। গাজী সামছু উদ্দিন ১৩। কাজল ১৪। সুবেদ আলী টিপু ১৫। রাহাদ খান।

    এছাড়াও যাদের নাম আমাদের এলাকার কারনে সব সময় মনে পড়ে তারা হলেন আব্দুর রঊফ, আমিন উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, খলিলুর রহমান, গাজী আলী ইমাম, আবুল হোসেন, সুলতান শিকদার, মনির হুসেন, বাবলু, নাসির, মিলু, ফেরদৌস, কুদ্দুস, লাবু ভাই, মঞ্জুর ভাই, জাহিদ, আতিক, হাসেম উল্লেখ্য। আমাদের মুক্তিবাহিনী ছাড়াও আমাদের এলাকায় আরো একটি রাজনৈতিক বাহিনী ছিল সুনিরমল সিংহ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএলএফ বাহিনী, একেএম সিরাজ, ডাঃ আব্দুর রহমান পাখি, শ্যামল, কেএম মান্নান, বেলাল হোসেনসহ আরো অনেকে ছিল এই বাহিনীতে। আরেকটি নাম আমার স্মৃতিতে বারবার ভেসে উঠে সে ভাগ্যকুলের নকুল। সে শ্রীনগরের যুদ্ধে অসীম সাহসীকতার পরিচয় দেয় এবং পরে আত্মহত্যা করে। মনে পড়ে সুবেদার ফখরুল ইসলামকে, মনে পড়ে অনেকের মুখ কিন্তু নাম মনে পড়ে না। তাই ক্ষমা চেয়ে নেই তাদের কাছে যাদের নাম তালিকায় আনতে পারলাম না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে আরো একজন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে। যার নাম ডাঃ আমানুর রহমান খান এবং তাকে সহযোগিতা করতেন আব্দুর সত্তার খান।

    জাতি হিসাবে আমিরা অনেক আবেগ প্রবন ও ক্ষমাশীল ও শান্তি প্রিয়। তাই আমরা ভুলে যাই শত্রু-মিত্রের ভেদাভেদ, স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ ও পাকিস্থানীদের অত্যাচার অনাচার। এই কারনেই যুগে যুগে নুর হোসেনদের জন্ম গ্রহন করতে হয়। রাজপথে রক্ত দিতে হয় প্রয়োজনে। জয় বাংলা, জয় বংগবন্ধু।

    আপনার মতামত দিন