নবাবগঞ্জ থানায় জিডি করায় সংখ্যালঘুর বাড়ি লুটপাট

717
নবাবগঞ্জ থানায় জিডি করায় সংখ্যালঘুর বাড়ি লুটপাট

নবাবগঞ্জে থানায় জিডি করার জের ধরে নয়নশ্রীর এক হিন্দু পরিবারের বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে নয়নশ্রী ইউনিয়নের বড় তাসুল্ল্যা গ্রামের রঞ্জিত কর্মকারের স্ত্রী মালতী কর্মকার অভিযোগ করে বলেন, সোমবার দুপুরে উপজেলার চরখলসী গ্রামের সোহেল নামে এক যুবকের নেতৃত্বে লুটপাট ও হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

মালতী কর্মকার   বলেন, বড় তাসুল্ল্য্যা গ্রামের সন্তুষ কর্মকারের পুত্র আমার স্বামী রঞ্জিত কর্মকার বাংলাবাজার ’ মা জুয়েলার্স” এর কর্ণধার। পরিবারিক বিবাদের কারনে প্রায় ১ মাস ১০দিন আগে তিনি বাড়ী থেকে চলে গিয়ে নিখোঁজ হন। এখনো আমরা তার কোন সন্ধান পায়নি।

দশদিন আগে চরখলসী গ্রামের সোহেল নামে এক যুবক হঠাত বাড়িতে এসে দাবি করে রঞ্জিত তার কাছ থেকে সুদে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছে। রঞ্জিত নিখোঁজ এই কথা শুনার পর সোহেল তার বাড়ী লুট করার হুমকি দেয়। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় বর্তমান চেয়ারম্যান পলাশ চৌধুরী এসে আগামী ৭ই মে ইউপি নির্বাচনের পর ঘটনাটি মিমাংসার আশ্বাস দেন।

ভয়ে গত শুক্রবার সোহেলের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন মালতী। থানায় ডায়েরী করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার দুপুরে সোহেল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ প্রায় ২০/২৫ জন সাঙ্গপ্রাঙ্গ নিয়ে এসে তার বাড়ীতে হামলা করেন। এই সময় প্রাণ ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তিনি।

অন্য খবর  বর্তমান সরকার নারী শিক্ষা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে: সালমা ইসলাম

তার ও পরিবারের সকলের অনুপস্থিতে হামলাকারীরা ঘরে তান্ডব চালিয়ে কিস্তির নগদ ৮১ হাজার টাকা, ৪০ ভরি রূপা, ৪ ভরি স্বর্ণ, প্রায় ১ কেজি ওজনের পিতলের একটি গণেশের মূর্তি, ফ্রিজ, টিভি, মোবাইলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ প্রায় ৭/৮ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়িঘরেও ভাংচুর চালায় হামলাকারীরা। তাদের হুমকির কারনে প্রতিবেশীরাও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি বলে অভিযোগ করেন মালতী কর্মকার।

স্থানীয় ও প্রতিবেশীরা বলেন, মালতী কর্মকারের স্বামী রঞ্জিত কর্মকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ধারে ও সুদে টাকা এনে জুয়েলার্সের ব্যবসা করতো। সোহেলের কাছ থেকেও সে কিছু টাকা এনেছিল বলে শুনেছি। তাই বলে রঞ্জিত ও তার পরিবারের কারো উপস্থিতি ছাড়া হামলা করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যাবে। এটা কোনভাবেই কাম্য হতে পারেনা।

নবাবগঞ্জ থানার এএসআই জয়নাল আবেদিন বলেন, ভোক্তাভোগী মহিলা ভয় পেয়ে শুক্রবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিল। সোমবার হামলা ও লুটের ঘটনার পর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।

এঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমানিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

আপনার মতামত দিন