নবাবগঞ্জে সরকারি ধান ক্রয়ে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের শুরুতেই কৃষকের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় ১ মণে ৪২ কেজি ধান সংগ্রহ করছে খাদ্য গুদামে। এতে করে ধানের ন্যায্য দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা। ফলে প্রান্তিক চাষিরা মহাজন ও পাওনাদারদের টাকা পরিশোধের ব্যাপারে পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।

উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের মরমন্দি গ্রামের কৃষী অফিসের কার্ড ধারী কৃষক রুবেল মাদবর বলেন , কৃষকের উৎপাদিত ধান বাজারে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় সরকারিভাবে খাদ্য গুদামে মণ প্রতি ৯২০ টাকায় সংগ্রহ শুরু করা হয়। কিন্তু কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রি করতে গেলে কৃষকদের কাছে নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা খাদ্য গুদামের কর্মরত তাদের কাছে ৫ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন এবং ১ মণে ৪২ কেজি ধান দিতে হবে বলে ঐ কৃষককে জানান। আর ঐ টাকা না দিলে কৃষক রুবেল মাদবর ধান বিক্রি করতে পারবে না সাফ জানিয়ে দেয়। পরে রুবেল মাদবর কোন উপায় অন্ত না পেয়ে বাধ্য হয়ে ৫ হাজার টাকা ঐ খাদ্য পরির্দশককে দেন বলে জানান।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জ বিএনপির নতুন কমিটি গঠন

ছোট গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক মুক্তার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সরকারিভাবে ধান বিক্রি করতে গেলে তার কাছেও নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা খাদ্য গুদামের পরির্দশক ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি টাকা না দেওয়ায় আমার ধান ক্রয় করছে না।

উপজেলার কলাকোপা খাদ্য গুদামের খাদ্য পরির্দশক মো. ইমরান হোসেন কৃষকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেয়া বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সরকারিভাবে গুদামে শ্রমিকদের যে টাকা মজুরি দেওয়া হয় তাতে কেউ কাজ করতে চায় না। তাই কৃষকরে কাছ থেকে তাদের জন্য মজুরি হিসেবে কিছু টাকা নেওয়া হচ্ছে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. আকবর হোসেন উৎকোচ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ধান কৃষকের বাড়ি থেকে খাদ্য গুদামে পেঁৗছানো খরচ, বস্ত এবং শ্রমিকের মজুরি বাবদ কৃষকের কাছ থেকে সামান্য কিছু টাকা নেয়া হয়।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাকিল আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে ঐ খাদ্য পরির্দশক মো. ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে নেয়া হবে।

আপনার মতামত দিন