নবাবগঞ্জে বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন কিছু শিক্ষক

1

স্টাফ রিপোর্টারঃ ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শিকারীপাড়া ইউনিয়নের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম বিষমপুর। আশেপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটু দূরে হওয়ায় স্থানীয় কিছু শিক্ষিত মানুষ এগিয়ে আসে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিষমপুর আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এরপর কিছুদিন পর বন্ধ হয়ে ২০১৪ সালে আবার চালু হয় বিদ্যালয়টি। করোনা মহামারী পরিস্থিতির আগ পর্যন্ত মোটামুটিভাবে চলতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এর পর থেকেই একটি বড় রকমের ধাক্কা খায় স্কুলে। শিক্ষার্থী কমতে কমতে এখন ৪৯ জন শিক্ষার্থী আছে বিদ্যালয়টিতে। প্রধান শিক্ষক সুফিয়া আক্তার জানান, আমার দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল একটি বিদ্যালয়ের হাল ধরার, সমাজের গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করার। যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান না, আবার কোন ব্যক্তিও এখানে অর্থায়ন করেন না তাই আমি নিজে থেকেই টিউশনি করে ২ জন শিক্ষককে ২ হাজার করে ৪ হাজার টাকা দেই তাদের। এছাড়া আরো দুইজন শিক্ষক বিনা বেতনেই পাঠদান করান এখানে। সরেজমিনে দেখা গেছে কিছুদিন আগে ঝড়ে স্কলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তদুপরি এলাকার মাদকসেবীরা স্কুলের টিউবওয়েল ও বেঞ্চ নিয়ে গেছে। দরজাও নেই কক্ষের। এতে অফিস রুমেই পাঠদান চলে। কেউ কোন খোঁজ না রাখায় হুমকির মুখে পরেছে বিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ। আশংকা ও দূঃখ ভারাক্রান্ত মুখে প্রধান শিক্ষিকা সুফিয়া আক্তার বলেন, যদি একটি সংস্কার করা যায় তাহলে এলাকার সুবিধা বঞ্চিত শিশুগুলোকে আমরা পড়ানো নিশ্চিত করতে পারি।
অত্র ইউনিয়নের বিশিষ্ট জনের মধ্যে মোস্তাক আহমেদ নামের একজন সমাজসেবকের সাথে কথা বললে তিনি নিশ্চিত করেন কিছু দিনের মধ্যেই তার সাধ্যমত এটা সংস্কার ও পাঠদানের উপযোগী করে দিবেন বলে নিশ্চিয়তা দিয়েছেন।

আপনার মতামত দিন