নবাবগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জোড়া খুনের আসামী নিহত

337

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নবাবগঞ্জের জোড়া খুনের আসামী রিপন মোল্লা (৩১) নিহত হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মাঝিরকান্দা-মহব্বতপুর সড়কের এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

নিহত রিপন মোল্লা মাদারিপুর জেলার রাজৈর উপজেলার পূর্ব স্বরমঙ্গল গ্রামের এলেন মোল্লার ছেলে। সে নবাবগঞ্জের সাম্প্রতিক জোড়া খুনের মামলার আসামী। তার বিরুদ্ধে কেরাণীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও রাজৈরসহ বিভিন্ন থানায় দুইটি হত্যা, ৫টি ডাকাতি, ১টি অস্ত্র মামলাসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। সে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। রোববার বেলা ১২টার দিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নবাবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৩শে মে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের দেওতলা গ্রামের পীর নজরুল ইসলামের বাড়ি থেকে ফেরার পথে বান্দুরা ইউনিয়নের মাঝিরকান্দা-বান্দুরা আঞ্চলিক প্রধান সড়কের মহব্বতপুর চাঁদ মসজিদ চকের সামনের সড়কে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শেখ কালাম (৫২)  নিহত হয়। এঘটনায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কালামের সঙ্গি জাহিদ খান (৪৪) মারা যায়।

অন্য খবর  দোহারে লকডাউনের ১২তম দিনে ২২ জনকে জরিমানা

ঐ জোড়া খুনের দায়ের করা মামলার আসামী রিপন মোল্লাকে শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ উপজেলার শুভাড্যা ইউনিয়নের চিতাখোলা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও তার অপর সহযোগী আসামীদের গ্রেফতার করতে উর্ধ্ববতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে মধ্যরাত ১ টা ১০ মিনিটে পুলিশ রিপনকে নিয়ে অভিযানে বের হয়।

রাত পোনে ২টার দিকে মাঝিরকান্দা-বান্দুরা সড়কের মহব্বতপুর এলাকার ডাঙ্গারচর নামক স্থানে পৌছলে আগ থেকে ঔত পেতে থাকা রিপন মোল্লার ৭/৮ জন সহযোগী পুলিশের কাছ থেকে রিপনকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় পুলিশও আত্মরাক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এসময় রিপন মোল্লা তার সহযোগীদের গুলিতে আহত হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এঘটনায় নবাবগঞ্জ থানা ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, উপপরিদর্শক আবুল হোসেন, কাজী নাসের, এএসআই মিজানুর রহমান প্রধান, কনস্টেবল সেলিম রেজা, আ. রহমান, ড্রাইভার নোমান আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী রিভরবার, ৩ রাউন্ড গুলিসহ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে লিখিতভাবে জানানো হয়।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম আরো জানান, ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত রিপন মোল্লাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আপনার মতামত দিন