ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের এক সদস্যের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি করার অভিযোগে নবাবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পবিত্র সরকারের বিরুদ্ধে থানায় এই লিখিত অভিযোগ করেছেন গোবিন্দপুর গ্রামের হেলেনা বেগম নামে এক নারী। যেখানে একই গ্রামের বিমল চন্দ্র ঘোষ, তারা ঘোষ ও তাদের বাবা নরেশ চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন ওই নারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর গোবিন্দপুর গ্রামের শাকিল নামে এক যুবক তার ভাগিনাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাজার থেকে বাড়িতে আসার পথে একই এলাকার বিমল চন্দ্র পূর্ব শত্রুতার জেরে ইচ্ছাকৃতভাবে গরু ছেড়ে দিয়ে পথ রোধ করে। এতে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আহত হয় শাকিল ও তার ভাগিনা উসমান গণি (২)। পরে উত্তেজিত জনতা বিমল চন্দ্রকে মারধর করে। ওই ঘটনার জেরে ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে অজ্ঞাত ৫ জন শাকিলদের বাড়িতে এসে তাদের ভয়ভীতি দেখায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
একই সাথে তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য পবিত্র সরকারের সাথে দেখা করতে বলেন। অন্যথায় তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। পরে শাকিলের মা হেলেনা বেগম উক্ত ঘটনা সাথে সাথে ইউপি সদস্য পবিত্র সরকারকে জানাতে গেলে পবিত্র সরকার হেলেনা বেগমের কাছে বিচারের কথা বলে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী হেলেনা বেগম বলেন, ‘ন্যায় বিচার না পেয়ে আমি বিমল চন্দ্র, তারা ঘোষ, বাবা নরেশ চন্দ্র ঘোষ এবং ঘুষ দাবি করা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার স্বামী কিছুদিন হল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এখন আবার স্থানীয়দের হুমকি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
তবে ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে পবিত্র সরকার বলেন, ‘দুই পক্ষ বিচারের জন্য আমার কাছে এসেছিল। আমি বিচারের সময় দিলেও হেলেনা বেগম তা অমান্য করে থানায় অভিযোগ করেছেন।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নবাবগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই মো. সোহরাব হাসান তালুকদার জানান, ‘ঘুষ নেয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’