নবাবগঞ্জের হরিষকুলে অগ্নিকাণ্ড: খোলা আকাশের নিচে এইচএসসি পরিক্ষার্থী

318

আসিফ শেখ: অগ্নিকাণ্ড কেড়ে নিল অসহায় পরিবারের সহায় সম্ভল। সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে সজীব মন্ডলে ৬ সদস্যের পরিবার। গত ৬ এপ্রিল শনিবার ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার হরিষকূল গ্রামের সজীব মন্ডলের বসত ঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তার মা হেলেনা সরকার, বোন (চলমান এইচএসসি পরিক্ষার্থী) ইতি সরকার, (৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী) আরেক বোন ঝর্ণা আক্তার, স্ত্রী হ্যাপি সরকার,৩ মাসের শিশু সন্তান সৌরভ সরকারকে ঘরের ভিতর থেকে বের করে আনতে পারলেও একমাত্র বসত ঘরটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 

এতে পরিবারটির সহায় সম্ভল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে পুড়ে যায় এইচএসসি পরিক্ষার্থী ইতি সরকারের সমস্ত শিক্ষা উপকরণ। সে এ বছর দোহার নবাবগঞ্জ কলেজ থেকে এইচএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহন করছে। সেই সাথে ছোট বোন বেগম হাসিবা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ঝর্ণা সরকারেরও যাবতীয় শিক্ষা উপকরণ পুড়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, সজীব মন্ডলের বাবা রতন মন্ডল ৭ বছর আগে মারা যাওয়ার পর থেকে একমাত্র উপার্জনক্ষম সজীবের উপার্জনে চলছিল ৬ সদস্যের পরিবার। আর বড় ২ বোনের বিয়ে দেয়া হয়েছে খুব কষ্টে। ছোট ২ বোনের লেখাপড়া মা, স্ত্রী, শিশুসন্তান নিয়ে কোন রকমে জীবন ধারণ করছিল পরিবারটি। মাত্র ১৫ মিনিটে শেষ হয়ে গেল পরিবারটির সহায় সম্বল। ঘর থেকে বের করতে পারেনি কোন কিছুই।

অন্য খবর  তালাক হয়েছে দুই বছর; তবুও স্বামীর বাড়ি ছাড়ছেন না স্ত্রী

সজীব মন্ডল বলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরের মোবাইল অপারেটর কোম্পানী রবি’র সেল্সম্যান হিসেবে মাসে ৫ হাজার টাকা রোজগারে তার ৬ সদস্যের পরিবারের ভরন পোষন করে আসছে। নিজেদের খাবারের চাহিদা কোন ভাবে মিটলেও বোনদের লেখাপড়া চালাতে বেশ হিমশিম খেতে হয়। তার উপর শনিবারের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একে বারে নি:স্ব হয়ে পড়েছি। পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছি। এখানো পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি কোন সহায়তা পাইনি। সব মিলিয়ে খুব কষ্টে আছে আমার পরিবার।

আপনার মতামত দিন