ধলেশ্বরী থেকে মাটি কাটায় হুমকির মুখে তুলশিখালী সেতু

185

নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী রুহিতপুর ইউনিয়নের লাকিরচর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। নদীর তীর থেকে মাটি কাটায় হুমকির মুখে পড়েছে ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়কের তুলশিখালী সেতু। ফলে যে কোনো সময় সেতুর পিলার ধসে পড়ার আশংকা রয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়কের পাশে লাকিরচর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর তীরে তুলশিখালী সেতুর প্রায় একশত গজ দূরে এক্সক্লেভেটর বা ভ্যেকু (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে মাটি কেটে ট্রাকে তোলা হচ্ছে। এই মাটি বিক্রি হচ্ছে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে। 

সেখানে কর্মরত একাধিক শ্রমিক জানায়, রুহিতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. সোলায়মান ওরফে সলেমান ও অহিদুল হকের নির্দেশে তারা মাটি কেটে নিচ্ছে। 

লাকিরচর এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন জানান, কয়েকদিন ধরে দেখছি নদীর তীর থেকে কিছু লোক মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তারা নদীর তীরে মাটি কেটে নিয়ে সেখানে বড় বড় গর্ত করে রাখছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অবৈধভাবে সেতুর কাছ থেকে মাটি কাটা হলে এক সময় সেতুটি হুমকির মুখে পড়বে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। 

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বছরের শিশু নিহত

গুচ্ছগ্রাম এলাকার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা অর্থের লোভে অবৈধভাবে নদীর তীরের মাটি কেটে বিক্রি করছে। এতে আমাদের গ্রাম ও তুলশিখালী সেতু হুমকির মুখে পড়ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লাকিরচর ও তুলশিখালী এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. সোলায়মান ওরফে সলেমান ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। 

তবে এ ব্যাপারে রুহিতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. অহিদুল হক মাটি কাটার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাটি কাটার সঙ্গে আমি জড়িত নই। দলের নেতাকর্মীরা মাটি কাটছে। 

রুহিতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সোলায়মান বলেন, নেতাকর্মীরা লাকিরচর থেকে মাটি কাটছে। তবে এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। 

সড়ক ও জনপথ মুন্সীগঞ্জ অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী তারেক ইকবাল বলেন, সেতুর উভয় পাশে ৩শ মিটারের মধ্যে মাটি কাটা বা খনন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইন ভঙ্গ করে যারা এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

অন্য খবর  যেভাবে হত্যা করা হয় সাইদুল ও সোহেলকে

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত দিন