জলাবদ্ধতার চরম ভোগান্তির স্বীকার ঢাকার দোহার উপজেলার দোহার পৌর এলাকার বাসিন্দারা। পৌরসভা গঠনের পর থেকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় বাড়িঘর স্থায়ী জলাবব্ধতা এখন পৌরবাসির নিত্যদিনের সঙ্গী। বছরের অধিকাংশ সময় পৌর এলাকায় পানি জমে থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগণকে ।
জানা যায়, বর্তমানে দোহার পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও গঠনের পর নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত পৌর এলাকার জনগন। দোহার পৌরবাসীর প্রধান সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে জলবদ্ধতা।
পৌরসভায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে তলিয়ে যায় অধিকাংশ এলাকা। অতি বর্ষনে কোন কোন এলাকা হাঁটু পরিমান পানি জমে । ফলে পৌরবাসীর চলাচলে মারাতœক বিঘœ ঘটছে ব্যহৃত হচ্ছে প্রতিদিনের রুমিনমাফিক কাজকর্মের।
দোহার পৌরসভার লটাখোলা , জয়পাড়া, খাড়াকান্দা, চৌধুরীপাড়া, ইউসুফপুর, দোহার , বটিয়া ও বানাঘাটা এলাকায় বৃস্টির পানি জমে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। মে মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এ সময়টা অধিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানির নিচে থাকে। এমনকি প্রধান সড়কে সাথে সংযোগ সড়ক গুলো পানিতে তলিয়ে যায়। কোন কোন এলাকায় ঘরের ভিতরে পানি উঠে যায়। পানি জমে থাকার কারনে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজকর্ম ও ঘর গৃহস্থালীর কাজ করতে মারাতœক বিঘœ ঘটে। বিশেষ করে তাঁত শিল্প অধ্যুষিত এলাকাগুলো বৃষ্টির পানি জমে থাকায় তাঁতীদের লুঙ্গি তৈরির কাজকর্ম বন্ধ থাকে। ফলে সময়মতো পাইকারদের লুঙ্গি সরবরাহ করতে পারছেন না তারা।
বিশেষ করে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পানি পায়ে মাড়িয়ে তারপর স্কুলে যেতে হয়।
দোহার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের উত্তর জয়পাড়া চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা মোতালেব মুন্সি জানান, বৃষ্টির পানি জমে বছরের অধিকাশং সময় এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে থাকায় বাড়ি থেকে বের হওয়া যায় না। খাড়াকান্দা এলকার আব্দুর রহমান জানান, পৌরসভার গঠনের পর থেকে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় বছরের পর বছর আমাদের চরম ভোগান্তি পোতাহে হচ্ছে।
এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারা ক্ষোভের সাথে বলেন, এ সমস্যা দীর্ঘদিনের হলেও দোহার পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কার্যকরী কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় বছরের পর বছর সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হচ্ছে আমাদের । এ এলাকার শিশুরা সারাদিন পানির মধ্যে হাটাচলার কারনে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে ভুগছেন বলে জানা গেছে। জমে থাকা পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এখানে।
এ অবস্থা দীর্ঘদিনের হলে এ থেকে পরিত্রান পাচ্ছে না দোহার পৌরসভার জনগন। নিয়মিত দোহার পৌরসভার জনগন উন্নয়ন কর পরিশোধ করে আসলেও বৃষ্টির পানি নিস্কাষনের কোন উদ্যোগ হাতে না নেওয়ায় এভাবেই কাটছে বছরের পর বছর।
এ ব্যাপারে দোহার পৌর মেয়র আলহাজ রহিম মিয়া জানান, নিচু এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু এ কাজের জন্য বাজেট বরাদ্ধ না থাকায় সময়মতো কাজ করতে পারছি না। তবে বেশি দুর্ভোগ যেসব এলাকাগুলো থেকে এ বছরই পানি সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।