দোহার-নবাবগঞ্জে ডাকাতি পরিস্থিতি: আতংকের রাতযাপন

362

মো: আল-আমিন ♦ “প্রায় ১ বছর দোহার নবাবগঞ্জবাসী স্বস্থিতে ছিলেন। শোনা যায়নি তেমন চুরি, ডাকাতির কোন ঘটনা। কিন্তু হটাৎ বেশ কিছু দিন যাবত দেখা যাচ্ছে ডাকাতির ঘটনা। আজ এ বাড়িতে কাল ও বাড়িতে। গত সপ্তাহে এ গ্রামে আবার অন্য সপ্তাহে অন্য গ্রামে।” এমনি বলছিলেন বারুয়াখালী ইউনিয়নের এক যুবক আহাদ বিশ্বাস। এলাকর জনগনের কাছ থেকে জানা গেল ডাকাতির অনেক ঘটনা, থানায়ও যার প্রমাণ মিলে। সাম্প্রতিক ডাকাতির ঘটনাগুলো বিশ্লেশন করে দেখা যায় নবাবগঞ্জের পশ্চিমাঞ্চল ও দোহারের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলে ডাকাতির পরিমান বেশী। এর কারণ বিশ্লেষন করেন ১নং রাজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো: মোসলেম উদ্দিন। তিনি বলেন, নবাবগঞ্জের পশ্চিম অঞ্চল থানা থেকে বেশ দূরে। যোগাযোগের ব্যবস্থা ভালো নয়। থানা থেকে পুলিশ রওনা দেবার পর ঘটনাস্থলে পৌছুতে প্রায় ১ ঘন্টা সময় লাগে। আর ডাকাতি করতে বড় জোর সময় লাগে আধা থেকে পৌনে এক ঘন্টা। আর এসব অঞ্চলে পুলিশের টহল নেই বললেই চলে। এবং মাঝে মাঝে এমনও দেখা যায় যে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটলেও পুলিশ আসতে চায় না। এজন্য ডাকাতরা বরাবরই সাহস একটু বেশি পায়। ঠিক একই কারনে দোহারের নদীরতীরবর্তী ইউনিয়ন গুলোতে ডাকাতি বেশি হয়। নয়াবাড়ী, মাহমুদপুর, বিলাশপুর, নারিশায় তাই ডাকাতির পরিমান বেশি এবং বর্ষার সময় বৃদ্ধি পায়। মাঝে মাঝেই নদীতে বেওয়ারিশ লাশ ভেসে আসা, ডাকাতি আর চুরির ঘটনা এখানে নিত্য নৈমতিক ঘটনা। এসব ঘটনার স্টেটমেন্ট থানা থেকে জানতে চাইলে থানা থেকে নানা অজুহাত দেখান এবং তা দিতে অসমত্তি জানান থানার দায়িত্ব পালনরত কর্মকর্তা।

অন্য খবর  দোহারে দশ প্রতিষ্ঠানকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা

গত বেশ কয়েক মাস প্রায় প্রতি রাতেই ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ডাকাতি একটি আতঙ্ক। এ থেকে মুক্তি মেলে না দোহার নবাবগঞ্জের শান্তিপ্রিয় জনগনের। কে বা কারা করছে এসব ঘটনা? পুলিশ কি পারবে এসব ডাকাত বা চোরদের নির্মূল করতে? নাকি বাংলাদেশের মানচিত্রে দোহার নবাবগঞ্জ ডাকাতিপ্রবণ এলাকা হিসাবে চিন্হিত হবে?

আপনার মতামত দিন