দোহার-নবাবগঞ্জে গির্জা ও বাড়িতে সাজ সাজ রব

746
দোহার-নবাবগঞ্জে বড়দিন উদযাপিত

 

আর মাত্র তিন দিন পর বড়দিন। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে দোহার-নবাবগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের ৫টি গির্জা ও ১৮টি গ্রামের খ্রিষ্টান বাড়িগুলোতে সাজ সাজ রব।

বাড়িগুলোর সামনে সাজানো হচ্ছে ক্রিসমাস ট্রি। মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে ও পোস্ট কার্ডের মাধ্যমে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। অতিথি আপ্যায়নের জন্য বাড়িতে বাড়িতে তৈরি করা হচ্ছে রকমারি পিঠা।

গির্জা ও উপধর্মপল্লিগুলোকে সাজানো হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ঝলমলে আলোকসজ্জায়। গির্জার ভেতরে দৃষ্টিনন্দন ডিসপ্লে করা হবে। প্রাঙ্গণে কুঁড়েঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তাতে রাখা হবে মাতা মেরির কোলে যিশুখ্রিষ্টের মূর্তি।

বড়দিন উপলক্ষে নবাবগঞ্জের বান্দুরা বাজারের তৈরি পোশাক বিপণিবিতানগুলোতে ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। বিক্রিও ভালো।

বান্দুরা বাজারের মুকুল বস্ত্রালয়ের মালিক মো. মুকুল প্রথম আলোকে বলেন, রুচিশীল রকমারি পোশাকের সমাহারে দোকান সাজানো হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার বিক্রি বেশি।

তুইতাল গ্রামের গৃহবধূ কিরণ গোমেজ বলেন, ‘বড়দিন উপলক্ষে অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য আমরা সপ্তাহ খানেক ধরে বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি ও কেক তৈরি করছি। আমাদের অনেক আত্মীয়স্বজন দেশের বাইরে ও ঢাকায় বসবাস করে। বড়দিন উপলক্ষে তারা প্রতিবছর গ্রামে আসে। সবাই মিলে উৎসব উদ্যাপন করি। তাদের জন্য হরেক রকমের খাবার রান্না করা হবে।’

অন্য খবর  দোহারে জমি সংক্রান্ত জেরে বৃদ্ধের হাত-পা ভেঙে দিলো সন্ত্রাসীরা

বান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দিলীপ গোমেজ বলেন, এ উপজেলার ১৮টি গ্রামে ৫টি গির্জা আছে। এর মধ্যে হাসনাবাদ এলাকায় রয়েছে পবিত্র জপমালা রানির গির্জা। এ ছাড়া গোল্লা, তুইতাল, সোনাবাজু ও বক্সনগরে গির্জা আছে। বড়দিন উপলক্ষে আগামী শুক্রবার থেকে উৎসব শুরু হবে। ১৮টি গ্রাম ও গির্জা এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

নবাবগঞ্জের হাসনাবাদ জপমালা রানির গির্জার ফাদার ম্যাক্সওয়েল বলেন, নবরাজ খ্রিষ্টকে গ্রহণ করতে বড়দিনের নয় দিন আগে থেকে নভেনা খ্রিষ্ট যাগ বা পাপস্বীকার পর্ব চলছে। দোহার, নবাবগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৮টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার উৎসব উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বড়দিনের কীর্তনের (ক্যারল) মধ্যে দিয়ে এ উৎসব শেষ হবে।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, গির্জা ও আশপাশের এলাকায় সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। র্যা ব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।

আপনার মতামত দিন