নিউজ৩৯♦ ২০১৪ সালে দোহারে ৭ টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিছু কিছু আত্মহত্যা রহস্যজনক ছিল। সেই ৭ আত্মহত্যার বিবরণ আজ পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো।
গত ১৮ মার্চ বৃহষ্পতিবার রাতে দোহার উপজেলায় এক প্রবাসীর স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে ওই বাসার গৃহশিক্ষক মনির হোসেনকে আটক করেছে দোহার থানা পুলিশ। উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের অভিযোগ, এসময় মনিরের সাথে তার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায় বাসায় ফিরে রাতের কোন এক সময় সে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা যায়। নিহতের ৪র্থ শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়ে জানায়, গত ৪ বছর ধরেই গৃহশিক্ষক মনির তাদের বাড়িতে পড়াতো।
দোহার থানার ওসি (তদন্ত) মাহমুদুল হক বলেন, এঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা হয়েছে। মনিরের শরীরের বিভিন্ন অংশে নখের আঁচর দেখা গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
গত ২১এপ্রিল সোমবার দুপুরে দোহার উপজেলায় জ্যোস্না আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছে। উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের বাধানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি বাধানগর গ্রামের কাদির সরদারের ছেলে।
উপজেলায় নারিশা ইউনিয়নের উত্তর শিমুলিয়া গ্রামে দেলোয়ার বাদশার মেয়ের সাথে দু বছর আগে মোবাইলফোন এর মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, বিদেশ থেকে স্বামী হেলাল সরদার (২৮) দেশে আসলে তার সাথে ১৭ দিন আগে বিবাহ পড়ানো হয় এবং মেহেদীর রং মুছতে না মুছতে গৃহবধূর জ্যোস্না সিলিং ফ্যানের সাথে কাপড় পেচিয়ে আত্মহত্যায় করেছে বলে জানা যায়।
গত ২১এপ্রিল সোমবার সকালে দোহার উপজেলা চম্পা আক্তার (১৬) নামে দশম শ্রেণির ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। তিনি মধুরখোলা গ্রামের আ: বারেকের মেয়ে। উপজেলা মুকসেদপুর ইউনিয়নের মুধুরখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। চম্পা আক্তারকে পহেলা বৈশাখের শাড়ি কিনে না দেওয়া মা বাবার সাথে অভিমান করে বসত ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
২৪ এপ্রিল গত বৃহস্পতিবার দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামে পরকীয়ার জের ধরে সোহেল খান (২৭) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করে। নিহত সোহেল ঐ গ্রামের রহমান খানের ছেলে।
১৪ ই মার্চ গত শুক্রবার দোহার উপজেলায় ওবায়দুল(২২) নামে এক যুবক গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি সুতারপাড়া গ্রামের করম আলীর ছেলে।
১০ই জুন গত মঙ্গলবার দোহার উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের বেথুয়া গ্রামের কাওছার (১৭) নামের এক কিশোর আত্মহত্যা করে। সে ঐ গ্রামের ইউনুস মোল্লার ছেলে।
১২ ই আগস্ট গত মঙ্গলবার বিকালে দোহার উপজেলায় মা-বাবার সাথে অভিমান করে আল-আমিন (১১) নামে এক স্কুলছাত্র গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের নারিশা পশ্চিম চর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস সিপাহীর ছেলে। সে নারিশা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।