ঢাকার দোহার উপজেলার লটাখোলা নতুন বাজারে মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত ‘চায়না জাল’ তৈরির ২টি কারখানার ৮টি গোডাউনে একযোগে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে দোহার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুস্তাফিজুর রহমান ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার পাগলা লেফট্যানেন্ট রুহান মঞ্জুর সহ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি বিশেষ দল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দোহার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুস্তাফিজুর রহমান। এসময় কারখানাগুলো থেকে আনুমানিক চার কোটি টাকার মূল্যের চায়না জাল জব্দ করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত উপজেলার লটাখোলা নতুন বাজার ২টি কারখানা ও ৮টি গোডাউনে এ অভিযান চালায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। অভিযানে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের শতাধিক সদস্য অংশগ্রহণ করেন। বিকাল সাড়ে চারটায় জব্দকৃত জালগুলো ট্রাকে করে নিয়ে গিয়ে দোহারের মাহমুদপুর ইউনিয়নের মিনি কক্সবাজারে জনসমক্ষে পুরিয়ে ধ্বংস করা হয়। ধ্বংস কৃত চায়না জালের রড গুলো নিলামে তুলা হলে ৯৮ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় পরে বিক্রিকৃত টাকা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দান করা হয়।
অভিযান পরিচালনার সময় ঐস্থানের বাসিন্দা মোঃ ছকিল বলেন, এই কারখানায় এর আগেও একবার অভিযান পরিচালনা করা হয় তবে বার বার অভিযান পরিচালনা করার পরও কেন বন্ধ হচ্ছে না সেটা আমরাও বুঝা পারতেসি না। তবে এ জালের জন্য আমরা ছোট মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ জানাচ্ছি যাতে এ জালের কারখানা গুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার পাগলা লেফট্যানেন্ট রুহান মঞ্জুর জানান, লটাখোলা নতুন বাজারে দুটিটি কারখানায় ও ৮টি গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে আনুমানিক ২৭ ট্রাকে ৮ লক্ষ পিছ চায়না জাল জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক চারকোটি টাকা।
দোহার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এ ধরণের জাল দিয়ে মাছ ধরার ফলে আমাদের মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযানের ফলে কারেন্ট জাল এখন কমে গেছে। কিন্ত ‘চায়না ধোয়াইর’একটি নতুন প্রযুক্তি। এটা ব্যবহারের ফলে মাছের পোনা থেকে শুরু করে ডিমও ধ্বংস হচ্ছে। এ ধরণের জাল ব্যবহার নিষিদ্ধ। দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এ ধরণের অভিযান চলমান থাকবে।
Write to Sharif Hasan Miah