দোহারে সুন্দরবন কুরিয়ার থেকে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পার্সেল পাঠানো যাচ্ছে

1619
দোহারে সুন্দরবন কুরিয়ার
দোহার সুন্দরবন কুরিয়ার

দোহারে সুন্দরবন কুরিয়ারের শাখা থেকে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পার্সেল বা পণ্য পাঠানো যাচ্ছে। এই সেবাটিকে “কন্ডিশন” সার্ভিস বলা হয়। গত বছর অক্টোবরের ১ তারিখে সুন্দরবন কুরিয়ার দোহারের লটাখোলার করম আলীর মোড়ে নিজস্ব অফিস চালু করলেও শুরুতে সব সেবা ছিল না। ২০২২ সালে ১ ফেব্রুয়ারিতে দোহার শাখায় কন্ডিশন সার্ভিস চালু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোহার শাখার ইনচার্জ আব্দুল মতিন।

কন্ডিশন সার্ভিস হল এক ধরণের ক্যাশ অন ডেলিভারি সার্ভিস যে পদ্ধতিতে অনলাইন শপগুলোর ক্রেতা কুরিয়ার অফিসে মূল্য প্রদান করে পার্সেল/পণ্য গ্রহণ করতে পারে। সুন্দরবন কুরিয়ার জেলা শহরগুলোতে একই চার্জে হোম ডেলিভারি দিচ্ছে।

গত ২০২০ সালে করোনাভাইরাস প্রকোপের পর থেকে সারা দেশে অনলাইন শপ বা ই-কমার্সে জোয়ার আসে। দোহার ও নবাবগঞ্জে বেশ কিছু উদ্যোক্তা অনলাইনে পণ্য বিক্রি শুরু করেন, কিন্তু শুরুতেই তারা ডেলিভারি সমস্যায় পড়েন। দোহার থেকে ঢাকা সহ সারা দেশে পণ্য পাঠানোর কোনো সহজ ব্যবস্থা ছিল না। এজেন্ট অফিসগুলো কন্ডিশনে পণ্য পাঠাতে পারে না, উপরন্তু নিয়মিত সেবাগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত চার্জ নিত। ২০২১ সালে সুন্দরবন কুরিয়ার নিজে অফিস খুললে ডেলিভারি সমস্যা কিছুটা কমে। আর এখন ক্যাশ অন ডেলিভারিতে দোহার-নবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীরা পণ্য পাঠাতে পারবেন।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জের আক্কাচ উদ্দিন শাহাজালাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান পুণঃনির্বাচিত

অপর দিকে স্থানীয় ক্রেতারা কন্ডিশনে পণ্য আনতে পারবেন, এতো দিন সুন্দরবনে পণ্য আনতে সম্পূর্ণ মূল্য অগ্রীম দিতে হত।

সারা দেশে সুন্দরবনের ১১৮টির বেশি শাখায় কন্ডিশনে পার্সেল পাঠানো যায়। ই-কমার্স পার্সেলের চার্জ ১৩০ টাকা (বর্তমানে ৩০ টাকা ডিসকাউন্ট চলছে), ও ৩০০০ টাকা মূল্যের পার্সেল পর্যন্ত কোনো বাড়তি চার্জ নেই, এর পর প্রথম হাজারে ২০ টাকা ও তার পর প্রতি হাজারে ১০ টাকা চার্জ নেবে।

আপনার মতামত দিন