দোহারে শিশু ধর্ষনঃ সামাজিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত পরিবার

256

ঢাকার দোহারের ইসলামপুর এলাকায় আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম (৪৫) নামে একজনকে আটক করেছে দোহার থানা পুলিশ।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ইসলামপুর খালপাড় এলাকায় গত ১০/১২ দিন আগে বিকেলে বাড়িতে যাওয়ার পথে শিশুটিকে ডেকে পাশের নির্জন জঙ্গলে নিয়ে যায় শহিদুল। এরপর তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। শিশুটি চিৎকার করতে চাইলে তার মুখ চেপে ধরে। প্রায় ৪০ মিনিট নির্যাতন করে তাকে ছেড়ে দেয়। যাওয়ার সময় ৫০ টাকা দিয়ে চকলেট খেতে বলে শহিদুল। এসময় ঘটনার বিষয়টি কাউকে বলতে নিষেধ করে শহিদুল। রক্তমাখা অবস্থায় মেয়েটি বাড়িতে আসলে তার মা বিস্তারিত জানতে চায়। ঘটনা শুনে বিষয়টি নিয়ে বিচার চাইতে গেলে শহিদুলের পরিবার তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত শহিদুলকে বেদম মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় দোহার থানা পুলিশ। পরে রাতেই একটি ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা মো. সামাদ। যাহার মামলা নং-১৯/২০২৩।

অন্য খবর  বাহ্রা ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি ঘোষণা

এদিকে মঙ্গলবার রাতে শহিদুলের বাড়িতে এবিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষীপ্ত হন স্থানীয় হেমায়েত হোসেন ও অভিযুক্ত শহিদুলের ভাই বাহাদুর।

ভূক্তভোগী শিশুটির বাবা বলেন, আমারা গরিব মানুষ। ঠিকমত তিনবেলা খেতে পারিনা। আমার মেয়ের এমন ক্ষতি করার পরেও বিচার চাইলে, তারা হত্যার ভয় দেখায়। আমি পুলিশের সহায়তায় এর সঠিক বিচার চাই, যাতে অন্য কোন গরিব পরিবারের জীবনে এমন ঘটনা না ঘটে।

এবিষয়ে দোহার থানা ওসি মো.মোস্তফা কামাল বলেন, ইসলামপুরে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দোহার থানায় শিশুটির বাবা একটি মামলা করেন। প্রধান আসামি শহিদুলকে আমরা গ্রেফতার করে সরকারি হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে রেখেছি। শীঘ্রই তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। শিশুটিকে মেডিকেল চেকাপের জন্য দ্রুতই ঢাকা পাঠানো হবে।

আপনার মতামত দিন