ঢাকার দোহার উপজেলায় লকডাউনের চতুর্থ দিনে সকাল থেকে লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে নেমেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও দোহার উপজেলা প্রশাসন। তবে লকডাউনের ১ম দিন থেকেই লকডাউন কার্যকর করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দোহার উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দোহার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), দোহার উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ। বিনা কারণে ঘরের বাইরে বের হওয়া থেকে জনসাধারণকে বিরত থাকতে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দোহারের বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে বিজিবি ও দোহার উপজেলা প্রশাসন।
লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জনসাধারণকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আইন অমান্যকারীদের অর্থদণ্ড প্রদান করছে দোহার উপজেলা প্রশাসন।
দোহার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লকডাউনের ঢিলেঢালার চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার সড়কজুড়ে অবাধে চলতে দেখা গিয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক, পিকআপ ভ্যান এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল। মার্কেট বা শপিং মলগুলো বন্ধ থাকলেও বেশকিছু ব্যবসায়ীরা লকডাউন উপেক্ষা করে দোকানের এক শার্টার খুলে ব্যবসা চালাচ্ছে। তবে প্রশাসনের অবস্থান টের পেলেই কাস্টমারসহ দোকানের ভেতর দিক থেকে বন্ধ করে দিচ্ছে দোকানীরা। প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে আবারও দোকান খুলতে দেখা যায় তাদেরকে। নিত্যপণ্যের দোকান ও কাঁচা বাজার খোলা রয়েছে। বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। বাজারে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের সামনে গ্রাহকদের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানি বললেন, ‘সরকারি অফিস খোলা, ঢাকায় বইমেলা খোলা, তাহলে কড়াকড়ি লকডাউন শুধু আমাদের বেলায়? এই দোকানের আয় দিয়েই আমার সংসার চলে। পেটের তাগিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দোকান খোলা রেখেছি।
দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, সারাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃহত্তর জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সরকার ১ সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে। করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে আমরা মাঠে আছি এবং থাকবো। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
আপনার মতামত দিন