বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য প্রয়াত সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ’র স্মরণসভা ও শ্রাদ্ধ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া একইস্থানে শোক সভার আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার ঢাকার দোহার উপজেলার বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই আয়োজন করা হয়।
স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাহাউদ্দীন নাসিম বলেন, এমন সময়ে রাজনৈতিকভাবে এমন নিখাঁদ মানুষ খুব কঠিন। নির্মল সত্যই নির্মল ছিলেন। তার যে জনপ্রিয়তা আমরা দেখেছি, সত্যই তা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আজ যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, একদিন তার যোগ্য পুত্র নয়ন- অঞ্জন নিশ্চয় তা পূরণ করবে। আপনারা সবাই নির্মলের জীবনের থেকে রাজনৈতিক শিক্ষা নিবেন, এটাই প্রত্যাশা।
স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আফজাল বাবু বলেন, দাদা ছিলেন আমার বড় ভাই। তিনি ছিলেন আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। তিনি নেই, এটা ভাবলেই আজ সকল নেতা-কর্মীদের মাঝে শূন্যতা বিরাজ করে। এই শূণ্যতা অপূরণীয়। আজ এখানে উপস্থিত সবাই কে দাদার আদর্শ, তার জীবনধারা অনুসরণ করে রাজনীতি করতে হবে, তাহলে দাদার আত্মা শান্তি পাবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান জয় বলেন, ছাত্রলীগের দুর্দিনের পূর্বসূরি দাদা। আমরা যখনই দাদাকে ডেকেছি কাছে পেয়েছি। ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীকে তিনি আপন ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন। জাতীয় নেতা হিসেবে তার যে জনপ্রিয়তা, সেটাই আমাদের শিক্ষা।
শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. বাহা উদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবজাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মিনাল কান্তি দাস, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।
আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান,
সাবেক আইজিআর খান মো. আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবন্যসহ প্রয়াত নেতা নির্মল রঞ্জন গুহের স্ত্রী আলো রানী গুহ, দুই পুত্র, মা, ভাই ও বোনসহ আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খিরা উপস্থিত ছিলেন।
শোকসভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য সুরুজ আলম সুরুজ।
বৃহস্পতিবার দোহারের বাস্তা গ্রামের নিজ বাড়িতে শ্রাদ্ধক্রীয়া সম্পন্ন হয়।
শুক্রবার বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে স্মরণসভা ও শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে মৎস্যমুখীর আয়োজনে বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার অতিথিকে আপ্যায়ন করা হয়।