দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের শিলাকোঠা, সুন্দরীপাড়া, চরপুরুলিয়া ও দেওভোগ গ্রামে হঠাৎ ডাকাত-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত তিন দিনে শিলাকোঠা তিনটি বাড়িতে ডাকাত দল হানা দেয়। এ ঘটনায় দোহার থানার পুলিশ গতকাল ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে শিলাকোঠা ঈদগাহ মাঠে গণসচেতনতামূলক সভা করেছে। জানা গেছে, গত ২০ মার্চ সোমবার রাতে শিলাকোঠা গ্রামের তসিমুদ্দিন মণ্ডলের বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ১৪-১৫ জনের ডাকাত দল। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় ডাকাত দলটি। পরদিন মঙ্গলবার একই গ্রামের প্রবাসী আ. ওহাব শিকদারের বাড়ির দরজা ভেঙে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় ডাকাতেরা। বুধবার রাতে শিলাকোঠা ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন প্রবাসী আইয়ুব আলীর ভবনের ছাদের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে ডাকাতেরা। বাড়ির লোকজনের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিলাকোঠা, সুন্দরীপাড়া, চরপুরুলিয়া ও দেওভোগ গ্রামের মানুষেরা ডাকাত-আতঙ্কে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।
শিলাকোঠা গ্রামের রেজাউল বিশ্বাস (৩০) বলেন, ‘তিন দিনে তিন দফা আমাদের গ্রামে ডাকাত দল হানা দেওয়ায় ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারছি না। রাত কাটছে আতঙ্কে।’ সুন্দরীপাড়া গ্রামের সোহেল শরীফ (২৯) বলেন, ‘কয়েক মাসের জন্য বিদেশ থেকে বাড়িতে এসেছি। এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারছি না। সবাইকে রাত জেগে পাহারা দিতে হচ্ছে। চরপুরুলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আবদুস সামাদ (৩১) বলেন, ‘আমাদের পাশের গ্রামে তিন দিন ডাকাতি হওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। রাত জেগে থাকি ভয়ে, এই বুঝি ডাকাত আইলো।’
এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, “ডাকাতদের প্রতিরোধ করার জন্য শিলাকোঠাসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া এসব গ্রামে পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে”।