ঢাকার দোহার উপজেলার দক্ষিণ শিলাকোঠা ও সুন্দরীপাড়া গ্রামের এক রাতে চার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতদল এ সময় পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করে অন্তত ২২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ১৪/১৫ জনের একটি ডাকাতদল উপজেলার দক্ষিণ শিলাকোঠা জামে মসজিদের পার্শ্ববর্তী আব্দুর রহিমের বাড়িতে যায়। ডাকাতরা বাড়ির গেইটের তালা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ঘরে থাকা আব্দুর রহিম (৭৫), তার স্ত্রী সোনাবরু (৬৫), ছেলে নুর মোহম্মদ নান্নু (৪৩) ও ছেলের বউ ফারজানা আক্তারকে (৩২) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। তারা ঘরে থাকা ১৫ ভরি স্বর্ণ, নগদ ৪০ হাজার টাকা, ১টি ল্যাপটপসহ বেশকিছু দামি জিনিসপত্রসহ ৯ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এরপর একই ডাকাতদল রাত আড়াইটার দিকে পাশের সুন্দীপাড়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুল হামেদের বাড়িতে হানা দিয়ে ঘরে থাকা তার স্ত্রী আলেয়া বেগমকে মারধর করে ৯ ভরি স্বর্ণ, ১৪ ভরি রূপা, নগদ ৭ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল সেট সহ ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।
রাত ৩টার দিকে তারা পাশের বাড়ির সৌদি প্রবাসী মো. ছালিমের বাড়িতে হানা দিয়ে ঘরে থাকা তার স্ত্রী সম্পা বেগমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪ ভরি স্বর্ণ, ১২ ভরি রূপা, নগদ ৬০ হাজার টাকা ও ১টি মোবাইল সেটসহ অন্তত ৩ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।
সবশেষে রাত সাড়ে ৩টার দিকে একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবুল কালামের বাড়িতে হানা দেয় ওই ডাকাতদল। এ সময় ঘরে থাকা তার স্ত্রী রূপা বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আসবাবপত্র ভেঙে ৭ ভরি স্বর্ণ, ১০ ভরি রূপা ও এক লাখ নগদ টাকাসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুটে করে পালিয়ে যায় ডাকাতদল।
ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় নি। এ ঘটনায় শিলাকোঠা ও সুন্দরীপাড়া গ্রামের মানুষের মাঝে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে।